ফরিদপুরে ভাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানে বিতর্কিত এক নেতা অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য একটি অংশ বয়কট করেছে। এমন ঘটনাটি ঘটে রোববার (২৩ জুন) বিকালে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে।
পরে বিকাল সাড়ে পাঁচটায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাইফুর রহমান মিরন হাওলাদারের নেতৃত্বে অনুষ্ঠানে কেক কাটার মধ্য দিয়ে একটি অংশ ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ভাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আকরামুজ্জামান রাজা, নবনির্বাচিত উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান এবিএম ইব্রাহিম খলিল, উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ শাহিন, চান্দ্রা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি কুদ্দুস মাতুব্বর, হামিরদী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ফারুক হোসেন মোল্লা প্রমূখ।
অনুষ্ঠানে আরেকটি অংশ পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল হক মিরু মুন্সির নেতৃত্বে একটি অংশ আকরামুজ্জামান রাজাকে অনুষ্ঠানে উপস্থিত দেখে অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার আগেই তারা দলীয় কার্যালয় ত্যাগ করেন।
এ ঘটনায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাইফুর রহমান মিরন জানান, আওয়ামী লীগ একটি বড় দল, সেখানে কিছু সমস্যা থাকতেই পারে তবে এটা ব্যক্তি আক্রোশ কিন্তু দলের প্রতি কারো আক্রোশ নাই। আমাদের কিছু নেতাকর্মী আমাদের সেক্রেটারি আকরামুজ্জামান রাজা সাহেবের উপজেলা নির্বাচনের সময় অডিও ফাঁস হওয়ায় অনেক নেতাকর্মী অসন্তুষ্ট হয়েছেন তার উপস্থিতি দেখে একটি অংশ অনুষ্ঠান থেকে চলে গেছেন এবং আসেননি।
এ বিষয়ে পৌর আ`লীগের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল হক মিরু মুন্সি বলেন, আমরা দলের বিরুদ্ধে নই ব্যক্তির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছি।
তিনি আরো বলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আকরামুজ্জামান রাজা, জাতীয় নির্বাচনে দলের এবং আমাদের নেতা কাজী জাফর উল্লাহর বিরুদ্ধে গোপনে অবস্থান নিয়েছিলেন ও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনেও দলের সঙ্গে বেইমানি করে বিরোধী পক্ষের সঙ্গে আতাত করে চলছেন তার একটি অডিও ফাঁস হয় এতে দলের নেতা কর্মীরা প্রচন্ড ক্ষুব্ধ হন। এই বিতর্কিত নেতার উপস্থিতি দেখে উপজেলার বহু নেতা কর্মী তাকে বয়কট করে অনুষ্ঠান ত্যাগ করেছেন।
এদিকে ভাঙ্গা উপজেলা আ`লীগের ১ নং যুগ্ম সম্পাদক শরিফুজ্জামান ভিপি শরীফ বলেন, একমাত্র ব্যক্তি যিনি আকরামুজ্জামান রাজা তিনি দলের সঙ্গে বেইমানি করেছেন সেইটি উপজেলা বাসীর কাছে স্পষ্ট। তিনি দলের সঙ্গে কাজী জাফর উল্লাহর সঙ্গে ও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলের বিরুদ্ধে গোপনে অবস্থান নেওয়ায় তাকে আমরা উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা কর্মী বয়কট করেছি। তার উপস্থিতি দেখে আমি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করি নাই। উপজেলা আওয়ামী লীগের ইউনিয়ন পর্যায়ের বহু তৃণমূল নেতাকর্মী সহযোগী অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা রাজাকে বয়কট করে অনুষ্ঠান ত্যাগ করেছেন। একমাত্র ব্যক্তির কারণে নেতাকর্মীরা এই কাজটি করেছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ শাহিন জানান, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল হক মিরু মুন্সির গ্রুপটি অনুষ্ঠান থেকে চলে গেছেন। আমি আমার লিডার কাজী জাফর উল্লাহর সঙ্গে মোবাইল ফোনে নির্দেশ পেয়ে আমরা কেক কাটার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান পালন করি। নেতা বলেছেন রাজার বিষয়ে আমি এসে ব্যবস্থা নিব। আমরা তার নির্দেশ অনুসরণ করেই চলছি।
একুশে সংবাদ/সা.আ
একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
আপনার মতামত লিখুন :