ফরিদপুরের মধুখালীতে প্রবাসীর স্ত্রীকে গভীর রাতে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় ইউপি সদস্য সয়েল আহমেদের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত সয়েল আহমেদ মধুখালী উপজেলার কামালদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৬নং ওয়ার্ডের সদস্য। এ ঘটনায় ওই গৃহবধূ মধুখালী থানায় মামলা করেছেন। ঘটনার পর থেকেই গা ঢাকা দিয়েছে ওই মেম্বার।
জানা যায়, ওই গৃহবধূর স্বামী গত চার বছর থেকে সৌদি আরবে থাকেন। তিন সন্তানকে নিয়ে বাড়িতে থাকেন ওই প্রবাসীর স্ত্রী। রোববার (২৩ জুন) রাতে সন্তানদের খাইয়ে তিনি ও তার সন্তানরা ঘুমিয়ে পড়েন। রাত সাড়ে ১০টার দিকে ওই গৃহবধূ ঘর থেকে বের হয়ে বাথরুমে যান। এসময় আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা ইউপি সদস্য সয়েল আহমেদ ঘরে ঢুকে লুকিয়ে থাকে। পরে ওই গৃহবধূ যখন ঘরে ঢুকলে তাকে জাপটে ধরে মুখ চেপে ধরে সয়েল। কিছু সময় ধস্তাধস্তির পর ওই গৃহবধূ চিৎকার দিলে আশপাশের লোকজন ছুটে এলে সয়েল পালিয়ে যায়।
ভুক্তভোগী গৃহবধূ বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমাকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল সয়েল মেম্বার। বিভিন্ন সময় স্থানীয় মাতবরদের কাছে নালিশও করেছি, কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। মেম্বার টাকাওয়ালা ও প্রভাবশালী হওয়ার কারণে তার বিরুদ্ধে কেউ কথা বলে না।
তিনি আরও বলেন, আমার স্বামী বিদেশে থাকে। সন্তানদের নিয়ে বাড়িতে থাকি। এই সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করছিল সে। কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় রাতে আমার ঘরে ঢুকে আমাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। আমি মেম্বারের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।
ওই ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য বাবলু খান জানান, এর আগেও একাধিক নারীর সঙ্গে এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে ইউপি সদস্য সয়েল আহমেদ। বিভিন্ন ভাতার কার্ড দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়েও সে অসামাজিক কাজ করেছে। তার এ ধরনের অনৈতিক কর্মকাণ্ডের বিচারের দাবি জানান তিনি। পাশাপাশি তাকে দ্রুত আইনের আওতায় আনারও দাবি জানান।
ইউপি সদস্য সয়েল আহমেদের বাবা রেজাউল করিম জানান, গ্রাম্য দলাদলির কারণে তার ছেলের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে এ মামলা দেয়া হয়েছে। এটি মিথ্যা ঘটনা।
মধুখালী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শফিউল আলম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। এ ঘটনায় ওই প্রবাসীর স্ত্রী সোমবার (২৪ জুন) দুপুরে ইউপি সদস্য সয়েল আহমেদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। ঘটনার পর থেকেই সয়েল গা ঢাকা দিয়েছে। তাকে গ্রেফতারে অভিযান চালানো হচ্ছে।
একুশে সংবাদ/সা.আ
আপনার মতামত লিখুন :