শ্রীমঙ্গলে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর থেকে নারীর মরদেহ উদ্ধার

মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের দক্ষিণ টিকরিয়া এলাকায় অবস্থিত আশ্রয়ণ প্রকল্পে থাকা আকলিমা (২১) নামে এক নারীর আত্মহত্যার খবর পাওয়া গেছে।  শনিবার (২৯ জুন) সকালে এ নারীর মরদেহটি শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে উদ্বার করেছে পুলিশ।

আকলিমা আক্তারের দুইটি শিশু সন্তান রয়েছে। ইয়াসিন মিয়া নামে ৩ বছরের এক ছেলে এবং ইসরাত জাহান বর্ষা নামে দেড় বছরের এক মেয়ে রয়েছে।

স্থানীয় ও পুলিশ সুত্রে জানা যায়, টিকরিয়া আশ্রয়ণ প্রকল্পে থাকা টমটম চালক ফজলু মিয়ার স্ত্রী আকলিমা শনিবার সকাল ৯টার দিকে বাড়ির সবাই বের হবার পর ঘরের দরজা বন্ধ করে দেয়। অনেকক্ষণ দরজা না খোলায় পরিবারের লোকজন দরজা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে তাকে ঘরের তীরের সাথে ওড়না পেঁচানো অবস্থায় ঝুলে থাকতে দেখে। পরে দ্রুত তাকে হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

আকলিমার ননদ মুন্নি আক্তার (১১) জানায়, সকালে আরবি পড়ে বাড়িতে এসে ভাবি ভাবি বলে ডাকাডাকি এবং দরজা ধাক্কা দেয়ার পর ভাবির কোনো সাড়াশব্দ পাইনি, তখন ঘরের পেছনের বাথরুমের দিকে থাকা একটি দরজা হাত দিয়ে খুলে দেখি ভাবি ঘরের তীরের সাথে একটি ওড়না পেঁচিয়ে ভাবি ঝুলে আছেন। 

আকলিমার স্বামী ফজলু মিয়া একই এলাকার হরমুজ মিয়ারর ছেলে। তিনি পেশায় টমটম চালক।

৫০ শয্যাবিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. শারমিন আক্তার একুশে সংবাদকে জানান, আকলিমা নামে এক নারীকে সকাল ১০টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মৃত্যু অবস্থায় নিয়ে আসা হয়েছে। আমরা লাশ শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশকে হস্তান্তর করেছি।

শ্রীমঙ্গল ৬নং আশিদ্রোন ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের সদস্য মশাহিদ আহমেদ একুশে সংবাদকে জানান, আমি সিলেটে ছিলাম, তবে দুপুুরে শ্রীমঙ্গলে এসে এলাকাবাসী থেকে শুনেছি আমার ওয়ার্ডের আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা মৃত সুবহান মিয়ার মেয়ে আজ আত্মহত্যা করেছে।

শ্রীমঙ্গল থানার উপ পরিদর্শক (এস আই) সুব্রত দাস জানান, সকালে হাসপাতালে অন্য একটি কাজে গিয়ে আকলিমা নামের নারীর মৃদেহ দেখে আমরা জানতে পারি সে আত্মহত্যা করেছে। এই বিষয়ে একটি অপমৃত্যুর মামলার প্রস্তুতি চলছে।

শ্রীমঙ্গল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিনয় ভূষন রায় একুশে সংবাদকে জানান, আকলিমা নামের এই নারীর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছি। ঘটনাটি এখন আমরা আত্মহত্যা হিসেবেই দেখছি৷ ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসলে আত্মহত্যার কারণ জানা যাবে।

একুশে সংবাদ/সা.আ