ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায় প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণের পর হত্যা ঘটনার রহস্য উদঘাটন হয়েছে। ধর্ষণ ও হত্যাকান্ড সংগঠিত হওয়ার ২৪ ঘন্টার মাথায় খুনিকে আটক করেছে পুলিশ। এবিষয়টি রোববার (৩০ জুন) বিকালে নিশ্চিত করে ভাঙ্গা থানা পুলিশ।
খুনি একই বাড়ির পাশাপাশি ঘরের চাচাতো ভাই শাহ জামাল ওরফে শাহাদাত (১৬)। তারই বাবা টুকু মাতুব্বর রেখার মরদেহ পাট ক্ষেতে দেখে গ্রামবাসী ও পুলিশকে খবর দেন।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ধর্ষক রেখার চাচাতো ভাই়। কিশোরী ছিলেন বুদ্ধি প্রতিবন্ধী। সেই সুযোগটি নিয়েছেন শাহাদাত।শুক্রবার (২৮ জুন) রেখা গোসল করতে যায় বাড়ীর পিছনের ডোবায়। গোসল শেষ করার পর শাহাদাত রেখাকে মোবাইল দেখানোর লোভ দেখায়। রেখাকে ফুসলিয়ে ডোবার সাথেই পাটক্ষেত সেই পাট ক্ষেতের ভিতরে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে ধর্ষণ করে শাহাদাত। ধর্ষণ শেষে রেখা ঘটনাটি তার মায়ের কাছে বলে দেওয়ার কথা বললে, শাহাদাত তখন তাকে মেরে ফেলার ফন্দি করে। তখন সে মেয়েটির সালোয়ার দিয়ে গলায় পেচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা নিশ্চিত হয়ে শাহাদাত বাড়ি ফিরে যায়। বাড়িতে গিয়ে শাহাদাত বিষয়টি তার বাবা টুকু মাতুব্বরকে জানায়।
টুকু মাতুব্বর ঘটনা শুনে ছেলেকে থাপ্পড়ও দেন। পরে টুকু মাতুব্বর রেখার লাশ পাটক্ষেতে দেখতে পেয়ে নাটক সাজিয়ে গ্রামবাসী ওপুলিশকে জানান।
খবর পেয়ে ভাঙ্গা থানা পুলিশ ঐদিন বিকেলে ঘটনাস্থলে গিয়ে রেখার মরদেহ বিবস্ত্র অবস্থায় উদ্ধার করে। এ ঘটনায় ভাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ মামুন আল রশিদ জানান, মেয়েটি প্রতিবন্ধী হওয়ার কারণে সহজেই তাকে তার চাচাতো ভাই মোবাইল দেখানোর লোভ দেখিয়ে ধর্ষণ ও হত্যা করে বিষয়টি আমরা নিশ্চিত হয়েছি। ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডে সে একা ছিল বলেই জানান।
এ বিষয়ে তদন্তকারী অফিসার উপ-পরিদর্শক (এস আই) খালিদ হাসান জানান, খুনের রহস্য উদঘাটন হয়েছে। ছেলেটি আদালতেও স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে।বিস্তারিত পরে প্রেস ব্রিফিং করে জানানো হবে।
একুশে সংবাদ/সা.আ
আপনার মতামত লিখুন :