কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সন্ত্রাসী সংগঠন আরসা ও আরএসও এর মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে মো. সলিম (৩০) নামে এক নৈশপ্রহরী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দুজন।
সোমবার (১ জুলাই) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার পালংখালি ইউনিয়নের হাকিমপাড়া ১৪ নম্বর ক্যাম্পের ই-৩ ব্লকে এ ঘটনা ঘটে। ৮ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক (এডিআইজি) মো. আমির জাফর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মো. সলিম (৩০) উখিয়ার ১৪ নম্বর হাকিম পাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ই-৩ ব্লকের মো. মকবুলের ছেলে।
আহতরা হলেন- একই ক্যাম্পের মো. আলমের ছেলে মো. ইউনুস এবং আরিফ উল্লাহর ছেলে সবি উল্লাহ। হতাহতরা তিনজন রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নৈশপ্রহরী হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন।
স্থানীয়দের বরাতে মো. আমির জাফর বলেন, মধ্যরাতে উখিয়ার হাকিম পাড়া ১৪ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ই-৩ ব্লকের বালুর মাঠ এলাকায় মিয়ানমারের সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠন আরসা ও আরএসও’র মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে এপিবিএন পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছালে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে ঘটনাস্থল থেকে একজনকে মরদেহ এবং দুজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
আহতদের উদ্ধার করে কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন এমএসএফ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বলে জানান এডিআইজি।
তিনি আরও জানান, পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে আধিপত্য বিস্তারের জেরে রোহিঙ্গাদের দুই সন্ত্রাসী দলের মধ্যে সংঘর্ষে এ খুনের ঘটনা ঘটেছে। ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে গ্রেফতারে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।
উখিয়া থানার ওসি মো. শামীম হোসেন জানান, ঘটনাস্থল থেকে একজনের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
একুশে সংবাদ/স.ট.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :