অতি বৃষ্টি, ড্রেনেজ ও পয়নিষ্কাশন না থাকায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর উপজেলার রামরাইল ইউনিয়নের বিয়াল্লিশর গ্রামের প্রায় তিন শতাধিক মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া কুমিল্লা মহাসড়ক সংলগ্ন বিয়াল্লিশর গ্রামে প্রবেশের রাস্তাটি অতি বৃষ্টির কারণে প্রায় দেড় থেকে দুই ফুট পানির নিচে তলিয়ে গেছে। এই গ্রামে বিয়াল্লিশর আদর্শ কিন্ডারগার্ডেন স্কুল ও বিয়াল্লিশর কেন্দ্রীয় মসজিদ, মসজিদে মক্তব, তিনটি মাদ্রাসাসহ বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে।
গ্রামের রাস্তাঘাট পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ায় শিক্ষার্থীরা স্কুল ও মাদ্রাসায় যেতে পারছে না। মুসল্লীরা নামাজে যেতে পারছেন না। রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে যাওয়ার কারণে সাধারণ মানুষের চলাচলে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। মানুষের উঠানও ঘরের ভিতর পানি প্রবেশ করেছে, তিন শতাধিক বাড়ি ঘরের মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। সম্প্রতি ফেসবুকে রাসেলস ভাইপার সাপের সংবাদ দেখার কারণে, এই গ্রামবাসীর মধ্যেও এখন রাসেলস ভাইপার সাপ আতঙ্ক বিরাজ করছে।
বিয়াল্লিশর আদর্শ কিন্ডারগার্ডেন স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক আমিনুল ইসলাম বলেন, স্কুলের শিক্ষার্থীরা ও অসাধারণ মানুষ চলাচল করতে পারে না বিধায়, আমি নিজ উদ্যোগে গতবছর ১৯ হাজার ও চলতি বছরে ২০ হাজার টাকার বালু রাস্তায় ফেলেছি। তারপরও এই গ্রামবাসীর ভোগান্তি যেন পিছু ছাড়ছে না।
এই বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য কবির মিয়া বলেন, আমি কয়েকবার চেয়ারম্যানের সাথে আলোচনা করেছি, এই রাস্তার ব্যাপারে মিটিংও করেছি। উনি আশ্বস্ত করেছেন রাস্তার বিষয়টা দেখবেন। এখন আমরা গ্রামবাসী মিলে পাইপ কিনে যাহাতে গ্রাম থেকে পানি সরানো যায় সেই উদ্যোগ নিয়েছি। এই গ্রামের পানি নিষ্কাশনের জন্য ড্রেনের ব্যবস্থা করা ও গ্রামে চলাচলের রাস্তা গুলো আরো কমপক্ষে ৩ ফুট উঁচু করে তৈরি ও সংস্কার করা, বিয়াল্লিশর গ্রামবাসীর প্রাণের দাবি।
এ বিষয়ে কথা বললে রামরাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মশিউর রহমান সেলিম জানায়, প্রচুর পানি, গ্রামের রাস্তাঘাট ও মানুষের বাড়ি ঘরের ভিতরে পানি ঢুকে পড়েছে। আমি এই গ্রামেই আছি, বিষয়টি পরিদর্শন করে কি ব্যবস্থা নেওয়া যায় দেখবো।
একুশে সংবাদ/সা.আ
আপনার মতামত লিখুন :