AB Bank
ঢাকা রবিবার, ০৬ অক্টোবর, ২০২৪, ২১ আশ্বিন ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

ঝিনাইগাতীতে ভারি বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে বন‍্যা


ঝিনাইগাতীতে ভারি বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে বন‍্যা

শেরপুরে ঝিনাইগাতীতে গত ৫ দিনের অবিরাম বর্ষণ ও গত ২ দিনের ভারি বর্ষনের ফলে ঝিনাইগাতী উপজেলার ৭ ইউনিয়নের অধিকার এলাকা বন‍্যার পানিতে প্লাবিত হয়ে পড়েছে। ভারি বর্ষণ ও ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানিতে ৪ টি নদী ও ৪ টি ঝর্ণা দিয়ে প্রবল বেগে প্রবাহিত হওয়ার ফলে নদীগুলির উভয় পাড় ভেঙ্গে ব‍্যাপক বন‍্যার দেখা দিয়েছে।

এতে বহু ঘরবাড়ি গাছপালা আমন বীজতলার বীজসহ (চারা) ফসলি জমির ব‍্য‍াপক ক্ষতি সাধিত হয়। এছাড়াও মৎস্য চাষিদের পুকুরসহ অনেক কৃষকের পুকুর বন‍্যার পানিতে তলিয়ে যায়। এতে পুকুরের মাছ পানিতে ভেসে যায়। এতে ব‍্যাপক ক্ষতির মূখে পরে মৎস্য চাষিরা। পাশাপাশি নদীর উভয় কূল ভাঙার ফলে ঘরবাড়ি ও গবাদি পশুসহ বহু রাস্তাঘাট পুল কালভার্ট ব‍্যাপক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে ঝিনাইগাতী সদর উপজেলার সঙ্গে অনেক গ্রাম অঞ্চলের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। এছাড়াও হাজার হাজার পরিবার পানি বন্দী হয়ে পড়েছে।

উল্লেখ্য ভারতের মেঘালয় হতে ৪ টি নদী ঝিনাইগাতী উপজেলার মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। যথাক্রমে মহারশি সমেস্বরি কালঘোষা ও কর্নঝুড়া। উক্ত নদী গুলি দিয়ে ভারতের মেঘালয়ের বন‍্যার পানি ও ভারি বর্ষনের ফলে ব‍্যাপক আকারে বন‍্যার সৃষ্টি হয়। যে সমস্ত এলাকার পরিবার পানি বন্দি হয়ে পড়েছে, দারিয়ার পাড়, কান্দুলি, কোনাগাও, কালিনগর, চতল, জিগাতলা, দিঘিরপাড়, সুরিহারা সহ আরো বহু এলাকার লোক মানেবতর জীবনযাপন করছে। ঝিনাইগাতী উপজেলা প্রাশাসন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জেসমিন আক্তার সহ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বন‍্যার্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। এ সংবাদ লেখা পযর্ন্ত বন‍্যার্তদের মাঝে ত্রান সামগ্রী পৌছায়নি বলে জানা যায়।

বন‍্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবাররা সরকারিভাবে ত্রান সহায়তার দাবি জানিয়েছে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের উপর। এছাড়াও ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্তের সরকারি সহযোগিতার জোর দাবি জানান। পাশাপাশি নদীর উভয় পাড়ের বন‍্যার পানিতে ভাঙ্গন মেরামত করা না হলে আমন মৌসুমের উৎপাদন ব‍্যহত হবে। কারন বন‍্যায় সামান্য পানি হলেই নদীর ভাঙ্গন দিয়ে পানি প্রবাহের ফলে কৃষকের পক্ষে আমন উৎপাদন করা সম্ভব হবে না। এতে একদিকে যেমন উৎপাদন ব‍্যহত হবে অপর দিকে কৃষকরা ব‍‍্যাপক ক্ষতির মূখে পড়বে। প্রকাশ থাকে যে উক্ত বন‍্যায় সিংহভাগ আমন বীজতলার (বীজ) ক্ষতি হওয়ায় কৃষকেরা হতাশার মধ্যে পড়েছে। কারন বতর্মানে আমন চাষের উপযুক্ত সময় শুরু হয়েছে। এমন সময় বন‍্যায় কৃষকের বীজতলার বীজ নষ্ট করায় কৃষকরা কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়েছে।

 

একুশে সংবাদ/সা.আ

সর্বোচ্চ পঠিত - সারাবাংলা

Link copied!