টানা বৃষ্টি ও উজানের পাহাড়ি ঢল অব্যাহত থাকায় সিলেটের বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। তৃতীয় দফার বন্যায় প্লাবিত হয়েছে জেলার ৯৭ ইউনিয়নের ১ হাজার ১৭৬ গ্রাম। পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন ৭ লাখের বেশি মানুষ। গতকাল মঙ্গলবার রাতে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে সিলেট জেলা প্রশাসনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, টানা বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলে সুরমা-কুশিয়ারাসহ সিলেটের বিভিন্ন নদ-নদীর পাঁচটি পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সবধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে জেলা প্রশাসন।
সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানায়, মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টায় সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ১১২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এই নদীর পানি সিলেট পয়েন্টে ১০ দশমিক ৭৯ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। যা বিপৎসীমা ছুঁইছুঁই।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সিলেট নগরীর অনেক স্থানে দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সিলেটে ১৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। আজ বুধবারও সিলেটে ভারী বৃষ্টির আভাস রয়েছে।
সিলেট জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে বলা হয়েছে, তৃতীয় দফা বন্যার আশঙ্কা আগে থেকে থাকায় এরই মধ্যে আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
এদিকে, সুনামগঞ্জে তাহিরপুর ও বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায় বিভিন্ন এলাকায় প্রবেশ করেছে বন্যার পানি। নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় জেলার ২ শতাধিক গ্রামের ৩ লাখের বেশি মানুষ পানিবন্দি।
এছাড়া মৌলভীবাজার, নেত্রকোণা ও শেরপুরে নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর প্রবাহিত হওয়ায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে।
একুশে সংবাদ/এনএস
আপনার মতামত লিখুন :