সুনামগঞ্জে গতকাল মঙ্গলবার রাত থেকে বৃষ্টি না হওয়ায় বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। গত তিনদিন সুনামগঞ্জে ও ভারতের চেরাপুঞ্জিতে ভারী বৃষ্টির ফলে জেলার চারটি উপজেলার বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়।
গতরাত থেকে বৃষ্টি না হওয়ায় তাহিরপুর, বিশ্বম্ভরপুর, মধ্যনগর ও সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। তবে জেলার জামালগঞ্জ, ধর্মপাশা, দোয়ারাবাজার উপজেলার নিন্মাঞ্চলে এখনো বন্যা পরিস্থিতি অবনতির দিকেই আছে। এসব উপজেলার বাড়ি ঘরে ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ঢলের পানি ঢুকে পড়ায় দুর্ভোগে রয়েছে অন্তত ৫ লক্ষাধিক মানুষ। সড়ক পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় জেলা সদরের সঙ্গে দোয়ারাবাজার, তাহিরপুর উপজেলার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
এছাড়াও জেলার শতাধিক অভ্যন্তরীণ সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় বিভিন্ন উপজেলা সদরের সঙ্গে গ্রামবাসীর যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
জেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, সুনামগঞ্জের ১৩০২টি গ্রাম বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে। বন্যা কবলিতদের জন্য ৫৭৯টি আশ্রয়কেন্ত্র খোলা হয়েছে। এর মধ্যে ৬৩টি আশ্রয় কেন্দ্রে ১৭০০ বন্যা কবলিত মানুষ আশ্রয় নিয়েছে।
এদিকে আবারো আগামী ৪৮ ঘণ্টা ভারী বর্ষণের পূর্ভাবাস দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। আগামী ৫ জুলাই পর্যন্ত তা অব্যাহত থাকতে পারে। এ কারণে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে বলে জানিয়েছে পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার।
নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, ‘এই সময়ে আবারো নদ নদীর পানি বাড়তে পারে।’
একুশে সংবাদ/এনএস
আপনার মতামত লিখুন :