গত কয়েকদিনের টানা ভারী বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ব্রহ্মপুত্র ও ধরলার পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। দ্বিতীয় দফায় কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে।
বুধবার ৩ জুলাই পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, সকাল ৬টায় শিমুল বাড়ি পয়েন্টে ধরলার পানি ১২ সেন্টিমিটার, চিলমারী পয়েন্টে ব্রহ্মপুত্রের পানি ১ সেন্টিমিটার এবং নুনখাওয়া পয়েন্টে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপৎসীমার ১২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
পানি বৃদ্ধির ফলে প্লাবিত হয়েছে নাগেশ্বরী, রৌমারী, রাজিবপুর, চিলমারী, ভুরুঙ্গামারী, উলিপুর, ফুলবাড়ী, রাজারহাট ও সদর উপজেলার নদ-নদী তীরবর্তী চর-দ্বীপচর ও নিম্নাঞ্চলের ঘরবাড়ি। পানির নিচে চলে গেছে পাট, আমন বীজতলা ও সবজি জাতীয় মৌসুমি ফসলের ক্ষেত। ভেঙে পড়েছে গ্রামীণ যোগাযোগ ব্যবস্থা। লোকালয়ে ডুকছে পানি । পানিবন্দি হয়ে পড়েছে এসব এলাকার আনুমানিক ২০ হাজার পরিবার। সেতু পয়েন্টে ধরলার পানি, পাটেশ্বরী পয়েন্টে দুধকুমারের পানি ও কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেলেও তা এখনো বিপৎসীমা অতিক্রম করেনি।
কুড়িগ্রাম সদরের পাঁচগাছী ইউনিয়নের সিতাই ঝাড় গ্রাম , কদমতলা , নেওয়া বস গারু হারা গ্রামের লোকালয়ে পানি ঢুকছে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। উলিপুর উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের ৬,৮,৯ ও৭ নং (আংশিক ) ওয়ার্ডে প্রায় ৫ শত পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে । দ্বিতীয় দফায় বন্যায় হাতিয়া , সাহেবের আলগা ইউনিয়নের বেশকিছু গ্রামের পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। বেগমগঞ্জ ব্রহ্মপুত্র এলাকার লোকজনের পানিবন্দি হওয়ায় দুর্ভোগে কাটছেন নিবা রাত্রি।
অনেকে পারিবারিক প্রয়োজনে বাড়ি থেকে বেড়াতে পারছে না। বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের শমসের আলী, ইউনুস আলী, নজরুল হক সহ অনেকে জানান, এবারে দ্বিতীয় দফায় বন্যায় গত কাল থেকে থেকে খুব পানি বাড়ছে। তলিয়ে গেছে রাস্তাঘাট । এখন নৌকা ও কলাগাছের ভেলায় যাতায়াত করছি আমরা।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিবুল হাসান জানান, পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে আগামী ২৪ ঘণ্টায় কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি ও পাটেশ্বরী পয়েন্টে দুধকুমার নদের পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :