বাংলাদেশ পল্লি বিদ্যুতায়ন বোর্ড (বিআরইবি) নিয়ন্ত্রণাধীন পল্লী বিদ্যুৎ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অভিন্ন চাকরিবিধি বাস্তবায়ন এবং চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে চট্টগ্রাম পল্লি বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতিসহ নানা কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন।
বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) সমিতির রাঙ্গুনিয়া, রাউজান, ফটিকছড়ি উপজেলার চারটি জোনাল অফিস ও তিনটি সাব-জোনাল অফিস ও প্রধান কার্যালয়ের সাড়ে ৫০০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী কর্মবিরতি পালন ও সমাবেশ যোগ দেন।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, বিআরইবির মানহীন ও নিম্নমানের মালামাল সরবরাহের কারণে ভঙ্গুর বিতরণ ব্যবস্থা হচ্ছে। বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থা স্বাভাবিক রাখতে পল্লী বিদ্যুৎ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অভিন্ন চাকরিবিধি বাস্তবায়ন ও অনিয়মিত চাকরিজীবীদের নিয়মিত করতে হবে।
জানা গেছে, দেশের ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির প্রায় ৪০ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী গত ৫ মে থেকে জরুি বিদ্যুৎ সেবা চালু রেখে কর্মবিরতিতে নামেন। এ সময়ে বিদ্যুৎ বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ১৫ দিনের মধ্যে আলোচনায় বসে বাস্তবায়নের আশ্বাসে তারা সে সময়ে কর্মবিরতি স্থগিত করে কাজে যোগ দেন।
কিন্তু গত প্রায় দুই মাস অতিবাহিত হলেও দাবি বাস্তবায়ন না হওয়ায় কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সোমবার (১ জুলাই) থেকে ফের কর্মবিরতি শুরু করেন চট্টগ্রাম পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর আওতাভুক্ত কর্মকর্তা কর্মচারীগণ।
চট্টগ্রাম পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি- ২ সদর দপ্তর রাউজানের প্রধান কার্যালয়ের সামনে কর্মবিরতি ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে বক্তব্য দেন পল্লী বিদ্যুৎ কার্যালয়ের জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ হাসান, যুধিষ্টি রঞ্জন ভৌমিক, বিলিং সুপারভাইজার সুপ্তা শীল, মিটার রিডার শহীদুল ইসলাম, লাইন ক্রু লেভেল-১ মোহাম্মদ আবু হেনা মোস্তফা কামাল, লাইন টেকনেশিয়ান মো. মাহবুবুল আলম, লাইনম্যান গ্রেড-১ মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম, লাইন শ্রমিক মো. ইসরাফিল।
দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে বলে আন্দোলনরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জানিয়েছেন। তবে জরুরি গ্রাহক সেবা ও বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক থাকবে।
একুশে সংবাদ/সা.আ
আপনার মতামত লিখুন :