বাণিজ্য ও ব্যবহারের দিক থেকে দেশের সবচেয়ে বড় ও ব্যস্ততম স্থলবন্দর বেনাপোল। আমদানি-রফতানিতে ব্যবসায়ীদের প্রথম পছন্দও এ বন্দর। তবে, গত এক যুগেও বন্দরটি রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারছিল না। সদ্য সমাপ্ত অর্থবছরে বন্দরটি ভেঙেছে সে রেকর্ড। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের আমদানি পণ্য থেকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ৫ হাজার ৯৪৮ কোটি টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ৬ হাজার ১৬৫ কোটি টাকা আয় হয়েছে
বন্দর কর্তৃপক্ষের তথ্যমতে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের আমদানি পণ্য থেকে এনবিআরের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫ হাজার ৯৪৮ কোটি টাকা। এর বিপরীতে আয় হয়েছে ৬ হাজার ১৬৫ কোটি টাকা, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২১৬ কোটি ৫৯ লাখ টাকা বেশি। প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৬ দশমিক ৫৩ শতাংশের বেশি। এসময় এ বন্দর দিয়ে ভারত থেকে আমদানি হয়েছে ১৭ লাখ ২১ হাজার ৭৮০ মেট্রিক টন পণ্য।
ব্যবসায়ীরা জানান, বেনাপোল বন্দর দিয়ে আগের চেয়ে অনেক সহজে পণ্য আমদানি-রফতানি করা যায়। এমনকি, সড়ক যোগাযোগ উন্নত হওয়ায় বেড়েছে বাণিজ্য। এতে ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে রাজস্ব আদায়ে। এ ব্যাপারে আমদানিকারক আব্দুস সামাদ বলেন, পদ্মা সেতু হওয়ার পরে এখন ৫-৬ ঘন্টায় পণ্য পৌছানো সম্ভব হয়। যার ফলে সময় বেঁচে কমেছে খরচ।
বেনাপোল কাস্টমসের নানারকম পদক্ষেপের জন্য আমদানিকারকরা আরও বেশি এই বন্দরমুখী হয়েছেন বলে জানান বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের কাস্টমস বিষয়ক সম্পাদক সুলতান মাহমুদ বিপুল।
আর কর্তৃপক্ষ বলছে, বন্দরের অবকাঠামো উন্নয়নে ব্যবসায়ীরা এ বন্দর বেশি ব্যবহার করছেন। এ বিষয়ে বেনাপোল স্থলবন্দরের পরিচালক রেজাউল করিম বলেন, বর্তমানে সফটওয়্যারের ব্যবহার, ওজন নির্ণয়ের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতাসহ অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য ব্যবসায়ীরা এই বন্দর বেছে নিচ্ছেন। যার জন্য রাজস্বও বাড়ছে।
বেনাপোল কাস্টম হাউসের তথ্যমতে, বিদায়ী অর্থবছরে সবচেয়ে বেশি রাজস্ব আয় হয়েছে ফেব্রিক্স, পচনশীল দ্রব্য, ট্রাক চেচিস, মোটরপার্টস এবং ইন্ডাস্ট্রিয়াল কাঁচামাল থেকে।
একুশে সংবাদ/স.ট.প্র/জা.হা
আপনার মতামত লিখুন :