AB Bank
ঢাকা শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

চট্টগ্রামে ক্ষুরা রোগেক্রান্ত দেড় হাজার গরু


চট্টগ্রামে ক্ষুরা রোগেক্রান্ত দেড় হাজার গরু

চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে দেখা দিয়েছে মহামারী আকারে  গরুর ক্ষুরা রোগের প্রাদুর্ভাব। এনিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন গরুর পালন পালনকারী কৃষকেরা। উপজেলার প্রাণি সম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালে গত দেড় মাসে ১৫০০ পশুকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। 

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের রেজিস্ট্রারের তথ্যানুযায়ী গত ১৭ মে থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত চিকিৎসা পেয়েছে ক্ষুরা রোগাক্রান্ত ১হাজার ৪১৪টি পশু। উপজেলার শ্রীপুর-খরণদ্বীপ ইউনিয়নে খামারি সুজন পাল বলেন, খামারের ১৩টি গরুর মধ্যে ৫ দিন পূর্বে ক্ষুরারোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ১টি ষাঁড়। ষাঁড়টির বাজার মূল্য লক্ষাধিক টাকা হবে। কোরবানি ঈদের ৩ দিন পূর্বে একই রোগে মারা গিয়েছিলো ৭৫ হাজার টাকা দামের ১টি বকনা। বর্তমানে ১টি বাছুর অসুস্থ হওয়ায় চিকিৎসা চলছে। কানুনগোপাড়ার কৃষক মো.আবচারের ২৬ দিনের গরুর বাচ্চাটিও মারা গেছে গত বুধবার (৩ জুলাই)।

জানা গেছে, ক্ষুরারোগে আক্রান্ত হয়ে গত দুই সপ্তাহে এ রোগে মারা গেছে ১০টির বেশি গরু। ক্ষুরা রোগের কারণে পশুর গলা ফুলাসহ নানা ধরনের উপসর্গ দেখা দিচ্ছে বলে জানান কৃষকরা। এছাড়া পশুর গায়ে গোলাকৃতির পক্সেও (লাম্পি স্ক্রিন) আক্রান্ত হচ্ছে। বোয়ালখালীর শ্রীপুর, আমুচিয়া, করলডেঙ্গা, সারোয়াতলী, চরখিজিরপুর  গ্রামের প্রান্তিক কৃষকেরা বলছেন, ক্ষুরা রোগের চিকিৎসা ব্যয় বেশি। চিকিৎসকের পরামর্শ পেলেও ঔষধ খরচ অনেক। এ কারণে খামারি ও কৃষকেরা রোগাক্রান্ত গরু স্বল্প মূল্যে মাংস ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করে দিচ্ছেন।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. সেতু ভূষণ দাশ বলেন, কোরবানির ঈদের সময় দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে চট্টগ্রামে গরু আসে। এ সময় এই রোগের ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। এ ছাড়া লাম্পি স্ক্রিনে আক্রান্ত হয়ে বড় গরুর চেয়ে বেশির ভাগ বাছুর মারা যাচ্ছে। এজন্য গবাদিপশুর এফএমডি ও লাম্পি স্কিন রোগ নিয়ন্ত্রণে সরকারি বেসরকারিভাবে পর্যাপ্ত পরিমাণে টিকা সরবরাহ জরুরি।

তিনি আরও বলেন, আক্রান্ত গরুকে চিকিৎসা ও সুস্থ গরুকে টিকা দানের মাধ্যমে রোগ নিয়ন্ত্রণে মাঠে রয়েছি। প্রান্তিক কৃষক ও খামারিদের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য নানা ধরনের কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। তারপরও অনেকে প্রাণিসম্পদ অফিসের চিকিৎসকদের কাছে আসেন না। স্থানীয় গ্রাম্য হাতুড়ে ডাক্তার দিয়ে পশু চিকিৎসা করাচ্ছেন। এ অপচিকিৎসায় পশু মারা যাচ্ছে। উপজেলা ভেটেরিনারি হাসপাতালে গত ৩ বছর ধরে ভেটেরিনারি সার্জন পদটি শুন্য রয়েছে জানিয়ে এ চিকিৎসক বলেন, দৈনিক শতাধিক রোগাক্রান্ত পশুকে চিকিৎসা দিতে হিমসিম খেতে হচ্ছে। অথচ বোয়ালখালীতে ছোট বড় মিলিয়ে গরুর খামার রয়েছে ১ হাজার ৭৫৭টি।

 

একুশে সংবাদ/এনএস

Link copied!