কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতি আরও অবনতি হয়েছে। বন্যায় জেলার ৯টি উপজেলার প্রায় লক্ষাধিকের বেশি মানুষ দুর্ভোগে পড়েছেন। বিশেষ করে গৃহপালিত পশু নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন তারা। উপায়ন্তর না পেয়ে গরু-ছাগলের সঙ্গে থাকতে হচ্ছে পরিবারগুলোকে। অনেকে খোলা আকাশের নীচে নৌকায় রাত যাপন করছেন।
যোগাযোগে একমাত্র নৌকা ছাড়া চলাচলের কোনো উপায় নেই এসব উপজেলায়। ঘরে চাল-ডাল থাকলেও রান্না করে খেতে পারছেন অনেকে। বিশুদ্ধ খাবার পানি ও স্যানিটেশনের অভাবে দুর্ভোগ আরও বেড়েছে। জেলা প্রশাসন থেকে ত্রাণ দেওয়া হলেও যা চাহিদার তুলনায় কম।
উলিপুর উপজেলার হাতিয়া ইউনিয়নের আঞ্জুমান আরা বলেন, গত চারদিন ধরে পানিতে ভাসছি। ঘরে এক গলা পানি। আশপাশে কোথাও যাওয়ার উপায় নাই। বৃষ্টির মধ্যে নৌকার মধ্যে দিন-রাত পার করছি।
হকের চরের মো. আব্দুল কাদের বলেন, আজ পাঁচদিন ধরে আমাদের এলাকার মানুষ পানিতে। অথচ কোনো চেয়ারম্যান-মেম্বার কেউ দেখতে আসেনি। আমরা সবাই খুব কষ্টে আছি।
কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ বলেন, বন্যা ও নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর তালিকা প্রস্তুত করতে বলা হয়েছে। এছাড়া ত্রাণের পাশাপাশি ৪০০টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে।
একুশে সংবাদ/এনএস
আপনার মতামত লিখুন :