গাজীপুরের শ্রীপুরে ভুয়া র্যাব পরিচয়ে সেলভো কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড কারখানার ডাকাতির ঘটনার মূলহোতা ডাকাত দলের নারী সদস্য মিতুকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১।
শনিবার (০৬ জুলাই) দিবাগত রাতে রাজধানীর দক্ষিণখান এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। র্যাব-১ এর সহকারী পুলিশ সুপার (মিডিয়া) মাহফুজুর রহমান দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেফতার মিতু মৌলভীবাজার দৌলতপুর গ্রামের রহমত উল্লাহর মেয়ে। এর আগে ১২ জুন (বুধবার) ওই ডাকাতির ঘটনায় র্যাব সঙ্ঘবদ্ধ ডাকাত দলের পাঁচ সদস্যকে গ্রেফতার করে।
র্যাব-১ এর সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মাহফুজুর রহমান জানান, গ্রেফতারকৃত মিতু কাস্টমার সেজে ব্যাংকের ভিতর নজর রাখতো কারা ব্যাংক থেকে বড় অংকের টাকা তুলছে এবং সহজে কাদের টার্গেট করা যায়। যাচাই-বাছাই করে ব্যাংকের ভেতর থেকেই মিতু ওই ব্যাক্তিকে চিহ্নিত করে দলের সদস্যদেরকে ফোনে বা মেসেজ করে জানাত। পরে চিহ্নিত ব্যাক্তি ব্যাংক থেকে টাকা তুলে বের হলে মিতু তাকে ফলো করে তার পেছনে পেছনে বাহিরে আসে। বাহিরে অপক্ষেমান ডাকাত সদস্যদেরকে ইশারার মাধ্যমে চিহ্নিত ব্যাক্তিকে দেখিয়ে দিত। পরে মিতু চিহ্নিত ব্যাক্তির কথাবার্তা মনোযোগ দিয়ে শুনতো এবং তার রুট প্ল্যান বোঝার চেষ্টা করত। মিতুর প্রধান কাজ ছিল ডাকাত দলের সদস্যদেরকে চিহ্নিত ব্যাক্তিকে দেখিয়ে দেয়া এবং তার বিষয়ে যত বেশি সম্ভব তথ্য সরবরাহ করা। মিতু ডাকাত দলের সদস্য গ্রেফতারকৃত রুবেল ইসলামের পূর্ব পরিচিত তার মাধ্যমেই ডাকাতির কার্যক্রমের সাথে জড়িয়ে পরে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত মিতু দীর্ঘদিন যাবত সঙ্ঘবদ্ধ ডাকাত দলের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।
শ্রীপুর থানার ডিউটি অফিসার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুজন জানান, দুপুরে গ্রেফতার মিতুকে গাজীপুর আদালতে পাঠানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ৬ জুন (বৃহস্পতিবার) বিকাল সাড়ে ৪টায় উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের ধনুয়া সেলভো কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড কারখানার ৩ কর্মকর্তাকে ভুয়া র্যাব পরিচয়ে অস্ত্রের মুখে কারখানার সামনে থেকে জিম্মি করে অপহরণ করে। তাদেরকে ওইদিন সন্ধ্যা ৬টার দিকে গাজীপুর সদর উপজেলার হোতাপাড়া এলাকায় নামিয়ে দেয়। তাদের কাছে থাকা ব্যাংক থেকে তুলে আনা শ্রমিকদের বতেন ও বোনাসের ১৯ লাখ ৪৫ হাজার টাকা লুটে নেয় ডাকাতেরা। পরদিন (৭ জুন) এ ঘটনায় কারখানা কর্তৃপক্ষ শ্রীপুর থানায় মামলা (নং-১২) দায়ের করে।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :