ত্রাণ নিয়ে দুর্গতদের দোরগোড়ায় উপজেলা চেয়ারম্যান

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও টানা বৃষ্টিতে গত ১ সপ্তাহ থেকে বন্যায় প্লাবিত হয়েছে কুড়িগ্রামের রাজীবপুর উপজেলার নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চল। বন্যার পানিতে উপজেলার প্রায় ৬০টির বেশি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে চরম খাদ্য সংকট ও কর্মহীন হয়ে দুর্বিষহ জীবনযাপন করছে এসব এলাকার মানুষ।

দূর্যোগময় এই সময় রাজীবপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শফিউল আলম ত্রাণ নিয়ে ছুটে যাচ্ছেন বন্যার্তদের দোরগোড়ায়। গত ১ সপ্তাহ থেকে নিজেই নৌকা যোগে উপজেলার বিভিন্ন বন্যায় প্লাবিত প্রত্যন্ত গ্রাম ও চরের মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করছেন তিনি।

রাজীবপুর উপজেলা প্রকল্পবাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে বন্যার্তদের মাঝে বিতরণের জন্য রাজীবপুর উপজেলায় ৩৭ মেট্রিকটন জিআরের চাল বরাদ্দ পাওয়া গেছে।

ইতিমধ্যেই পরিবার প্রতি ১০ কেজি করে চাল বিতরণ করা হয়েছে। সোমবার (৭ জুলাই) পর্যন্ত ২৮ মেট্রিকটন চাল বিতরণ করা হয়েছে। বিতরণ কাজ সরাসরি তদারকি করছেন রাজীবপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শফিউল আলম। 

উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সহায়তায় নৌকা যোগে বন্যার্তদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে চাল সহ নিত্যপণ্য বিতরণ করছেন। বিতরণ কৃত পণ্যের মধ্যে চাল ছাড়া আরও রয়েছে ডাল,তেল, চিরা, মুড়ি, গুড়, বিস্কুট,  টোস্ট বিস্কুট, ছোলা, বিশুদ্ধ পানি এবং  পানি বিশুদ্ধ করণ ট্যাবলেট।

বিতরণ কাজে সবসময় নিজেই উপস্থিত থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা চেয়ারম্যান শফিউল আলম বলেন, রাজীবপুর একটি বন্যা কবলিত উপজেলা এবং এখানকার মানুষ কৃষি কাজে নির্ভরশীল। আর এই বন্যায় তাদের দুঃখ কষ্ট বুঝতে হলে মানুষের কাছে যেতে হয়। তাদের সাথে কথা বলতে হয়, তাহলেই প্রকৃত চিত্র অনুধাবন করা যায়‍‍`। রাজীবপুর উপজেলা বন্যা প্রবণ এবং দরিদ্র। তাই ত্রাণ গুলো যাতে সঠিক মানুষের কাছে পৌঁছে সেই লক্ষ্যে নিজেই উপস্থিত থাকি বিতরণে যাতে করে প্রকৃত মানুষগুলো এই সহায়তা পায়। এবং বৃত্তবানদের বন্যার্তদের পাশে দাঁড়ানোর আহবান জানান তিনি।

একুশে সংবাদ/সা.আ