সাংবাদিক হত্যাচেষ্টা নিয়ে কক্সবাজারের কুতুবদিয়া আদালতের চলমান বিচারকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে উঠেপড়ে লেগেছে মামলার বিবাদীরা।
গত ১০ জুলাই আদালতের বিচারাধীন ওই মামলার ৩ নং বিবাদী মো. সেলিম মাতবর ও বিবাদী শরিফ জুনায়েদ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিচারকের স্বাক্ষরিত গোপনীয় নথির তথ্য ফাঁস ও বাদীর বিরুদ্ধে মানহানিকর মন্তব্য পোস্ট করলে মুহূর্তের মধ্যে এটি নিয়ে আলোচনার ঝড় ওঠে।
ফলে কুতুবদিয়াজুড়ে আদালতের বিচারাধীন মামলাটি নিয়ে সমালোচনা সৃষ্টি হয়েছে। জানা যায়, গত ১৯ এপ্রিল সাংবাদিক মিজানুর রহমানকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে কুতুবদিয়া থানায় ৯ জনের নামাল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়। সেই মামলায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আওরঙ্গজেব মাতবর, কৈয়ারবিল ইউপি চেয়ারম্যান আজমগীর মাতবর ও তাদের ছোট ভাই চট্রগ্রামের এইড মার্ডারের সাজাপ্রাপ্ত আসামী, জামায়াতের ক্যাডার মো. সেলিম মাতবর আদালতে হাজির হলে বিচারক তাদের জামিন না-মঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠায়।
মামলার বাদী দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনের কুতুবদিয়া উপজেলা প্রতিনিধি মিজানুর রহমান বলেন, আসামিরা জেল থেকে বেরিয়ে আদালতের বিচারাধীন মামলাটিকে কিভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করবে সেই ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। সর্বশেষ ১০ জুলাই ওই মামলার গোপনীয় নথিপত্র কৌশলে হাতে নিয়ে কুতুবদিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রতিবেদনে বিচারকের স্বাক্ষরিত গোপনীয় তথ্য ও বাদী সাংবাদিক মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে মানহানিকর মন্তব্য করে আসামিরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইজবুকে পোস্ট করেন। এতে দ্বীপের সর্বত্র আদালতের গোপনীয় নথি ফাঁস করা নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। আদালতের বিচারককে জনসম্মুখে প্রশ্নবিদ্ধ করতে এসব কান্ডে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরে আনার দাবি জানান বাদী।
এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট আইডির মালিক সেলিমের সাথে তার ম্যান্সেজারে একাধিক বার কল দিলেও কোন সাড়া দেন নাই।
এ বিষয়ে কুতুবদিয়া আদালতের আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট ফিরোজ আহমেদ বলেন, এটি সম্পূর্ণ একটি বেআইনি কাজ। যেখানে একটি মামলা বিচারাধীন- সেখানে অফিসের নথিতে ম্যাজিস্ট্রেটের স্বাক্ষরসহ আসামিরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপপ্রচার চালানো এটিও একটা অন্যায়, যা আইনত অপরাধ। এতে আদালতের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়। সুতরাং যারা এই তথ্য ফেসবুকে দিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিলে আর কেউ বেআইনি কাজ করতে আগ্রহ প্রকাশ করবে না।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :