রাজবাড়ীতে রান্নাঘরে রাখা খাবারের মসলার মধ্যে চেতনানাশক ঘুমের ঔষুধ মিশিয়ে বাড়ির সবাইকে অজ্ঞান করে চুরির ঘটনার একমাস পর চোর চক্রের ৪ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে রাজবাড়ী সদর থানা পুলিশ।
সোমবার (১৫ জুলাই) দুপুরে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন রাজবাড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. ইফতেখারুজ্জামান।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো, ফরিদপুর কোতয়ালী থানার কানাইপুর ইউপি উলোকান্দা গ্রামের মৃত আলীমদ্দিন শেখের ছেলে মো. কামাল শেখ (৪৫), ভাটি কানাইপুর গ্রামের মৃত রইচ মন্ডলের ছেলে মোঃ রুবেল মন্ডল (৩৫), গোপালপুর ইউপি রসুলপুর গ্রামের মৃত পরশ উল্লাহ মল্লিকের ছেলে মোঃ লালন মল্লিক (৪৮) রাজবাড়ী সদর উপজেলার বসন্তপুর ইউপি রঘুনাথপুর গ্রামের মো. সিরাজুল ইসলামের ছেলে মো. অনিক ওরফে বিল্লাল মুন্সী (২৭)।
রাজবাড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, গত জুন মাসের ৭ তারিখ দিবাগত রাত ৮ টা হতে ৮ তারিখ সকাল ৬ টার মধ্যে যে কোন সময়ে অজ্ঞাতনামা চোর চক্রের সদস্যরা রামকান্তপুর ইউনিয়নের রায়নগর সংলগ্ন মো. আমিরুল ইসলামের বাড়ির সকলকে রান্নাঘরে রাখা খাবারের মধ্যে চেতনানাশক ঘুমের ঔষধ মিশিয়ে ঘুমে অচেতন করে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার চুরি করে নিয়ে যায়। এ ঘটনার তদন্তকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাজবাড়ী সদর থানার একটি চৌকস আভিযানিক দল বিনোদপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে মামলায় সম্পৃক্ত মো. কামাল শেখ ও মোঃ রুবেল মন্ডলকে গ্রেপ্তার করে।
তিনি জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃত আসামীগণ দিনে ও রাতে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন এলাকায় ঘোড়াফেরা করে এবং সুযোগ বুঝে কোন বাড়ির রান্নাঘরে প্রবেশ করে খাবারের মসলার মধ্যে ঘুমের ঔষুধের গুড়া প্রয়োগ করে। উক্ত মসলা দিয়ে খাবার রান্না করার পর সেই খাবার খেয়ে বাড়ির লোকজন ঘুমে অচেতন হয়ে পড়লে সুযোগ বুঝে ঘরে প্রবেশ করে তারা চুরি করে। চুরির সময় কেউ জেগে থাকলে দেশীয় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে তাদের কাছ থেকেও জোরপূর্বক ডাকাতি করে তারা। তারা রাজবাড়ী সদর থানা এলাকাসহ রাজবাড়ী জেলার বিভিন্ন এলাকায় ও পার্শ্ববর্তী জেলাসমূহে চেতনানাশক ঔষধ প্রয়োগ করে সংঘবদ্ধভাবে চুরি, ডাকাতি এবং গরু চুরি করে আসছে মর্মে স্বীকার করে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. ইফতেখারুজ্জামান আরও জানান, গ্রেপ্তারকৃত আসামীদেরকে যথাযথ প্রক্রিয়ায় আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। এ চক্রে জড়িত অন্যান্য আসামী গ্রেপ্তারেও রাজবাড়ী থানা পুলিশ তৎপর রয়েছে।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :