সুনামগঞ্জের সীমান্তবর্তী তাহিরপুর উপজেলা সাংবাদিক হাবিব সারোয়ার আজাদের বেপরোয়া চাঁদাবাজির প্রতিবাদে এলাকাবাসীর মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) সকাল থেকে উপজেলাবাসীর আয়োজনে বাদাঘাট, তাহিরপুর, আনোয়ারপুর, ইসলামপুর, জঙ্গলবাড়ি ও বড়ছড়া বাজানেজ কয়েকটি স্থানে পৃথকভাবে ঘন্টাব্যাপী এসব কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় বিক্ষুদ্ধ জনতা ঝাড়ু হাতে নিয়ে আজাদের নানা অপকর্ম তুলে ধরে স্লোনানে স্লোনানে প্রতিটি বাজারের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এ সময় বক্তব্য রাখেন, সাবেক ইউপি সদস্য জাকির হোসেন, ব্যবসায়ী আফজাল হোসেন, সবুজ মিয়া, বাবলু দাস, আজহারুল ইসলাম, রিয়াদ হাসান, সাকিল মিয়া, জসিম উদ্দিন প্রমুখ।
সভায় বক্তারা বলেন, সাংবাদিকতা হচ্ছে একটি মহান পেশা। কিন্তু এই পেশাকে পুঁজি করে সাংবাদিক হাবিব সারোয়ার আজাদ তাহিরপুরে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। তাহিরপুর উপজেলার এমন কোন অপকর্ম নেই যার সাথে সে জড়িত না। ভারত সীমান্ত দিয়ে অবৈধ কয়লা,
চিনি, মাদক, গাঁজা ও ইয়াবার ব্যবসাসহ বিভিন্ন ভারতীয় পণ্য চোরাচালানের গডফাদার হিসেবে ইতিমধ্যে খ্যাতি অর্জন করেন উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের কামড়াবন্দ গ্রামের মৃত বৈদ মিয়ার ছেলে সাংবাদিক আজাদ। সীমান্তের চিহ্নিত চোরাকারবারিদের সমন্বয়ে তিনি একটি সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ বাহিনী গড়ে তুলে এলাকায় প্রভাব বিস্তারসহ সীমান্ত এলাকার চোরাচালান ও মাদক ব্যবসার নিয়ন্ত্রন করতে শুরু করেন।
গত ১৫ বছর ধরে তিনি ইতিমধ্যে অবৈধ পন্থায় বেশ কয়েক কোটি টাকার মালিক বনেছেন। এছাড়াও হাবিব সারোয়ার আজাদ নিজেকে র্যাব, পুলিশ, বিজিবির সোর্স পরিচয় দিয়ে তার একান্ত সহযোগীদের নিয়ে সীমান্তরুআদালতে ও থানায় চাঁদাবাজি, চোরাচালান ও শিশু বলৎকারসহ একাধিক মামলা চলমান হয়েছে।
তাহিরপুর সদর বাজারে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বাবলু দাস তার বক্তব্যে বলেন, ২০২২ সালের ২৮ অক্টোবর সীমান্ত এলাকায় ৫৮০০ মে.টন বাংলা কয়লা জব্দ করে নিলাম বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে তাহিরপুর উপজেলা প্রশাসন। যার বাজার মূল্য ৯ কোটি টাকা। কিন্তু হাইকোর্টের ষ্টে অর্ডারের কারনে জব্দকৃত মালগুলির নিলাম স্থগিত হয়ে যায়। পরবর্তীতে হাইকোর্টের মামলা চলমান থাকাবস্থায় কলাগাও গ্রামের রওফ মিয়া, তোতা মিয়া এবং জঙ্গলবাড়ি গ্রামের আয়নাল হক ও সাইফুল ইসলামের সহায়তায় রাতের আধারে হাবিব সারোয়ার আজাদ এই জব্দকৃত কয়লাগুলো চুরি করে নিয়ে যায় । আমরা এর উপযুক্ত বিচার দাবি করছি।
একুশে সংবাদ/সা.আ
আপনার মতামত লিখুন :