চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবননগরে আসামি ধরতে গিয়ে গ্রামবাসী ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে। এই ঘটনায় ৬ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। বুধবার (১৭ জুলাই) সকালে উপজেলার মাধবখালী গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, জীবননগর থানার এসআই ফিরোজ হোসেনের নেতৃত্বে সঙ্গীয় ফোর্স মোটরসাইকেল চুরি মামলার আসামি ও মোটরসাইকেল উদ্ধারের জন্য হাসাদহ ইউনিয়নের বৈদ্যনাথপুর গ্রামের ভাঙ্গা ব্রিজের নিকট উপস্থিত হয়। মোটরসাইকেল কেনাবেচার সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ৩/৪ জন পালিয়ে যায়।
মোটরসাইকেল চুরির সাথে জড়িত ঝিনাইদহ জেলার বড় কামারকুন্ডু গ্রামের সোহাগ হোসেনকে (৩২) গ্রেফতার করে ও একটি বাজাজ ডিসকভার মোটরসাইকেল উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। তার স্বীকারোক্তি মতে পালিয়ে যাওয়া আসামি জীবননগর উপজেলার মাধবখালী গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে মো.সাগর মিয়া (২৮), মৃত হায়দার আলীর ছেলে মো. লিটন হোসেন (৩৮), উথলী গ্রামের রাসেল মিয়াকে ধরার উদ্দেশ্যে এসআই ফিরোজ মাধবখালী গ্রামে যায়।
সেখানে আসামি সাগর ও লিটনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতারের পর আসামির পরিবার, আত্মীয়-স্বজন ও তার পক্ষে গ্রামের আনুমানিক ২০/২৫ জন পুরুষ ও মহিলা পুলিশের উপর অতর্কিত হামলা করে আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। এতে এসআই ফিরোজ, এসআই জাহাঙ্গীর গুরুত্বর আহত এবং এএসআই রুহুল আমিন, এএসআই সবুজ হোসেন, সোহেল রানা,আমিরুল ইসলাম সাধারণ আহত হয়। আহত পুলিশ সদস্যরা জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছে। এ ঘটনায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে ২ জন পুরুষ ও ৪ জন মহিলাকে আটক করেছে। গ্রেফতাররা হলেন- মাধবখালী গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে মো. সাগর মিয়া (২৮), মৃত হায়দার আলীর ছেলে, মো. লিটন হোসেন (৩৮) শাহাজাহান খানের স্ত্রী মোছা. সুরাইয়া খাতুন (৩৫), আব্দুর রহমানের স্ত্রী মোছা. রোকেয়া খাতুন (৫৫), আবু সিদ্দিকোর কণ্যা মোছা. লুবনা খাতুন (২৩) ও আবু সিদ্দিকের স্ত্রী মোছা.নাজমা খাতুন (৫০)। সকল আসামিদের গ্রেপ্তার করে জীবননগর থানায় নেওয়া হয়েছে।
এই ঘটনায় পুলিশের আঘাতে পাঁচজন গ্রামবাসী আহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে মাধবখালী গ্রামের রাজেদুল জানান, পুলিশের সাথে গ্রামবাসীর সাথে কোন সংঘর্ষ হয়নি। সাগরকে ধরতে গেলে সাগরের হাতের কুনোয় এক পুলিশ সদস্য আহত হয় এছাড়া আর কোন ঘটনা ঘটেনি।
জীবননগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানিয়েছেন, এই ঘটনায় জীবননগর থানার কিছু পুলিশ সদস্য চিকিৎসা নিতে এসেছিলো। তারা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছে।
একুশে সংবাদ/সা.আ
আপনার মতামত লিখুন :