AB Bank
ঢাকা শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

বরিশালে ১০ নদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে


বরিশালে ১০ নদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে

বরিশাল বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ ১২টি নদীর মধ্যে ১০টি নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে বরিশাল নগরীসহ অন্যান্য জেলা ও উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। বৃহস্পতিবার রাতে এই তথ্য জানিয়েছেন বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের জলানুসন্ধান বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী তাজুল ইসলাম।

তিনি বলেন, বিভাগের প্রধান ও গুরুত্বপূর্ণ ১০টি নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বর্তমান পরিস্থিতিকে বন্যা বলা যাবে না। এটি মৌসুমি পানি প্রবাহ।

এই কর্মকর্তা বলেন, বরিশাল জেলার কীর্তনখোলা নদীর পানি ২ সেন্টিমিটার, ঝালকাঠিতে বিষখালী নদী বিপৎসীমার ৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বরগুনা জেলার বেতাগী উপজেলা পয়েন্টে বিষখালী নদী ২৪ সেন্টিমিটার, ভোলা জেলার দৌলতখান উপজেলা পয়েন্টে মেঘনা নদী ৮৯ সেন্টিমিটার, তজুমদ্দিন উপজেলা পয়েন্টে মেঘনা ১ দশমিক ৭ সেন্টিমিটার, পটুয়াখালী জেলার মির্জাগঞ্জ উপজেলা পয়েন্টে পায়রা নদীর পানি ৮ সেন্টিমিটার, বরগুনা সদর উপজেলা পয়েন্টে বিষখালী নদী ২১ সেন্টিমিটার, পাথরঘাটা উপজেলা পয়েন্টে বিষখালী নদী ৭ সেন্টিমিটার, পিরোজপুর জেলার বলেশ্বর নদী ১৫ সেন্টিমিটার ও উমেদপুর পয়েন্টে কচা নদী  বিপৎসীমার ১৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এছাড়া বরগুনা জেলার আমতলী উপজেলা পয়েন্টে পায়রা ও ভোলা খেয়াঘাট এলাকায় তেঁতুলিয়া নদীর পানি বিপৎসীমার ২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

বরিশালে ১০ নদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে, প্লাবিত শহর-নিম্নাঞ্চল

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বরিশাল জেলার বাবুগঞ্জ, হিজলা, মুলাদী, মেহেন্দীগঞ্জ, বাকেরগঞ্জ, পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া, রাঙ্গাবালী, দুমকি, মির্জাগঞ্জ, গলাচিপা, বাউফল, বরগুনা জেলার সদর, পাথরঘাটা, বেতাগী, আমতলী, তালতলী, ভোলা জেলার সবগুলো উপজেলা, পিরোজপুর জেলার সদর, মঠবাড়িয়া, নেছারাবাদ, কাউখালী, নাজিরপুর, ঝালকাঠি সদর, নলছিটিসহ বেশ কয়েকটি উপজেলার বৃহদাংশ ইতোমধ্যে প্লাবিত হয়েছে। উপকূলীয় এলাকায় অনেকের বসত-ঘরে পানি ঢুকে গেছে। এতে মারাত্মক দুর্ভোগে পড়েছে নিম্নাঞ্চলের বাসিন্দারা।

পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলার আন্ধারমানিক নদী তীরবর্তী বাসিন্দা মোহাম্মাদ আলী বলেন, মঙ্গলবার থেকেই নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে। আমরা যারা বেড়িবাঁধের বাইরে থাকি তাদের ঘরে পানি ঢুকে গেছে। এজন্য বাধের কূলে এক ঘরে আশ্রয় নিয়েছি। পানি কমলে ঘরে ফিরবো।

রেমালের প্রভাবে দক্ষিণাঞ্চলের সব নদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে

পিরোজপুর উপজেলার মঠবাড়িয়া উপজেলার কচুবাড়িয়ার বাসিন্দা ইমন বলেন, অসম্ভব রকমের পানি বেড়েছে। আমরা আতঙ্কে আছি বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি যেন না হয়। থেমে থেমে বৃষ্টিতে একেবারে নাজেহাল অবস্থা করেছে আমাদের। শুধু উপকূলীয় অঞ্চল নয় খোদ বরিশাল শহর দিনে দুইবার প্লাবিত হচ্ছে। কীর্তনখোলা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় নদী সংযুক্ত ড্রেন ও নালা দিয়ে মূল শহরেই পানি ঢুকে সড়ক প্লাবিত করছে।

সদর রোডের বাসিন্দা আবির বলেন, দুই-তিনদিন ধরে দুইবার সদর রোডে জোয়ারের পানি ঢুকে গাড়ি চলাচলে ব্যাহত করছে। নদীর পানি অতিরিক্ত মাত্রায় বৃদ্ধি পাওয়ায় ড্রেন দিয়ে ময়লা পানি না নির্গমন হয়ে উল্টো নদীর পানি ঢুকে প্লাবিত করছে শহর। জোয়ারের সময়ে সদর রোড দিয়ে লোকজনের চলাচলে অসুবিধা হয়। 

 

একুশে সংবাদ/এনএস

Link copied!