গাইবান্ধা জেলার সাদুল্লাপুর উপজেলার জনগুরুত্বপূর্ন ব্যস্ততম সাদল্লাপুর-নলডাঙ্গা পাকা সড়কটি সরু হওয়ায় যানবাহন ও পথচারীদের চলাচলে অবর্ণনীয় দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে। এতে প্রতিনিয়তই ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। এমতাবস্থায় সড়কটি প্রশস্তকরণের জোরালো দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী।
স্থানীয়রা জানায়, ব্যস্ততম এ সড়ক দিয়ে দিবারাত্রি হাজার হাজার পথচারী, ভারী- হালকা যাত্রীবাহী এবং পণ্যবাহী দূরপাল্লার বাস, ট্রাক, মাইক্রোবাস, পিকআপ, অটোরিকশা, মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন ধরনের অসংখ্য যানবাহন চলাচল করে।আর এই সরু সড়কে এসব যানবাহন যোগে এ এলাকার মানুষজন প্রতিনিয়ত রাজধানী ঢাকা, বিভাগীয় শহর রংপুর,জেলা শহর গাইবান্ধা ও উপজেলা শহর সাদুল্লাপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করে থাকেন। সড়কটি সরু হওয়ায় দূরপাল্লার বাস ও ট্রাক মুখোমুখি পাশ কাটানো কিংবা পেছন থেকে অতিক্রম করার সময় চালকরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাবধানতার সাথে অনেক কষ্টে পাশ কাটাতে হয়।
এসময় সড়কটি দিয়ে পথচারীসহ সকল ধরনের যানবাহন চলাচলে কোনো উপায় না থাকায় মুহুর্তেই সড়কের দুই পাশে শতশত পথচারী অসংখ্য যানবাহন আটকা পড়ে তীব্র যানযটের সৃষ্টি হয়।
নলডাঙ্গা ইউনিয়নের বাসিন্দা আলম মিয়া বলেন, সড়কটি খুবই ছোট। এরমধ্যে বন্দর অভ্যন্তরের সড়কে স্থানীয় কিছু ভাঙারি, ধান, চাউল, রড সিমেন্ট ব্যবসায়ীগণ প্রায় প্রতিদিন বিভিন্ন ধরনের পণ্য বহনকারী ট্রাক,পিকআপ ও ট্রাক্টর সড়কে ঘন্টার পর ঘন্টা দাঁড় করিয়ে মালামাল উঠানামা করে থাকেন।
বাসচালক জিয়াদুল ইসলাম বলেন, সড়কটি সরু হওয়ায় স্বাভাবিক গতিতেও গাড়ি চালানো যায় না। এরমধ্যে আবার কোনো গাড়ি সামনাসামনি হলে ক্রসিং করার সময় সড়কের এক কোনে চাপিয়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে ক্রস করতে হয়।
স্থানীয় ব্যাটারিচালিত ভ্যান ও অটোবাইক চালক জাহিদুল মিয়া ও এনামুল বলেন, সড়কটি ছোট হওয়ায় বাস-ট্রাক সামনাসামনি কাটাকাটি করার সময় আমরা আর ভ্যান নিয়ে যেতে পারি না। যাত্রী নিয়ে বেশ কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। এ সময় যাত্রীরা অনেকটা বিরক্তবোধ করেন।
এদিকে স্থানীয়দের অভিযোগ, এমনিতেই সড়কটি সরু, তার ওপর আবার বন্দর এলাকার অনেক ব্যবসায়ী সড়কের দু’পাশে অবৈধভাবে দখল করে নিয়ে বিভিন্ন ধরনের স্থাপনা গড়ে তুলছেন। এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে সড়কটি বড় করা খুবই জরুরী।
পথচারী আমিনুল, আনোয়ার হোসেন, নুরুল আমিন, রহিম উদ্দিন জানান, সরু এই সড়কে কিছু কিছু বাস, ট্রাক ও মোটরসাইকেল যেভাবে বেপরোয়া গতিতে চলাচল করে তাতে যেকোনো মুহূর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে।
নলডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য ফুল মিয়া বলেন, সড়কটি প্রশস্তকরণ একান্ত অপরিহার্য। এ ব্যাপারে ইউনিয়ন পরিষদের মিটিংয়ে প্রায়ই আলোচনা হয়।
নলডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল গফুর বলেন, সড়কটি আমাদের ইউনিয়ন পরিষদের আওতায় নয়। এ ক্ষেত্রে আমাদের কিছু করার নেই। তবে এর আগে এ বিষয়ে উপজেলা পরিষদের সভায় আলোচনা করা হয়েছে।
একুশে সংবাদ/সা.আ
আপনার মতামত লিখুন :