AB Bank
ঢাকা সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে পেকুয়ার ৮টি গ্রাম প্লাবিত


Ekushey Sangbad
পেকুয়া প্রতিনিধি, কক্সবাজার
০৯:৪৯ পিএম, ১ আগস্ট, ২০২৪
অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে পেকুয়ার ৮টি গ্রাম প্লাবিত

অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে কক্সবাজারের পেকুয়ার টইটংয়ের ৮ টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে করে প্রায় ১০ হাজার মানুষ গৃহবন্দী হয়ে পড়েছে। এমনকি রাস্তা ডুবে যাওয়ায় যানচলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে এলাকাবাসীর মাঝে চরম দুর্ভোগ দেখা দিয়েছে।

জানা যায়, টইটং ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের হাবিবপাড়া, মালঘারা, ঝুমপাড়া, ২ নং ওয়ার্ডের মিত্ত্যান্তঘোনা, নতুনপাড়া, ৩ নং ওয়ার্ডের সাতকানিয়াপাড়া, ফজুরপাড়া, ওয়াজখাতুনপাড়া অতিবৃষ্টি ও পাহাড় থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে প্লাবিত হয়। ঘরবাড়ি পানিতে ডুবে গিয়ে গৃহবন্দী হয়ে পড়ে ওই এলাকার লোকজন। আবার নিম্নাঞ্চলের ঘরগুলো পানিবন্দি হয়ে যাওয়ায় তারা বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে।  এদিকে অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের পানিতে মানুষের পুকুরের মাছ ভেসে যায় এবং বীজতলা তলিয়ে যায়। এতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। ওই এলাকার রাস্তার উপর ৩ থেকে ৪ ফুট পানি উঠে ডুবে যাওয়ায় যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এমনকি অনেক রাস্তা ও ভেঙে পানিতে তলিয়ে যায়। ওই এলাকায় বর্তমানে বিশুদ্ধ পানি ও শুকানো খাবারের সংকট দেখা দিয়েছে। 

১ আগষ্ট (বৃহস্পতিবার) বিকালে প্লাবিত এলাকা পরিদর্শন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ সাইফুল ইসলাম, সহকারী  কমিশনার ভূমি নুর পেয়ারা বেগম এবং উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ আবু তাহের। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন টৈটং ইউপি চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম চৌধুরী।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম চৌধুরী জানান অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে আমার ইউনিয়নের ১,২,৩ নং ওয়ার্ডের ৮টির গ্রামে খুব বেশি প্লাবিত হয়।এতে প্রায় ১০ হাজার লোক গৃহবন্দী হয়ে আছে। বিকালে ইউএনও স্যার, সহকারী কমিশনার, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা প্লাবিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। এসময় ইউএনও স্যার বন্যার্ত মানুষগুলোকে সরকারিভাবে ত্রাণ দিবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন। তিনি আরো বলেন সম্প্রতি টইটং ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী এলাকায় চট্টগ্রাম কক্সবাজারের সেচ প্রকল্পের আওতায় বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বরাদ্দ থেকে টইটংয়ের নুনাছড়ি খাল মাটি কেটে পুন:খনন না করলে পুরো ইউনিয়ন আজ অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ী ঢলের পানিতে প্লাবিত হতো। পুন: খনন করার ফলে পানি ওই খাল দিয়ে চলে যাচ্ছে। টইটংয়ের নুনাছড়ি খাল পুন:খনন করার সময় অনেকই বিরোধিতা করেছেন। 

এদিকে উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা আবু তাহের জানান আমরা প্লাবিত এলাকা পরিদর্শন করেছি আপাতত সরকারি বরাদ্দ নেই। সরকারি বরাদ্দ পেলে বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করা হবে। 

এ বিষয়ে পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: সাইফুল ইসলাম জানান, অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ী ঢলে নেমে আসা পানিতে টইটংয়ের বেশকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে নিয়ে এসব এলাকা আমি পরিদর্শন করেছি। দেখেছি তাদের ঘরবাড়ী পানিবন্দি। তাছাড়াও পুকুরের মাছ পানিতে ভেসে যায় এমনকি চলতি মৌসুমের বীজতলা পানিতে তলিয়ে যায়। আপাতত সরকারি বরাদ্দ নেই। তবে বিষয়টি জেলা প্রশাসক স্যারকে অবগত করেছি এবং উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসকের কাছে বরাদ্দ চেয়ে আবেদন করেছি। বরাদ্দ পেলে বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করা হবে। 

 

একুশে সংবাদ/বিএইচ

Link copied!