AB Bank
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

পর্যাপ্ত বৃষ্টি না থাকায়, আমন চারা রোপণে বিপাকে কৃষক


পর্যাপ্ত বৃষ্টি না থাকায়, আমন চারা রোপণে বিপাকে কৃষক

বীজতলায় আমনের চারার বয়স প্রায় ৩০দিন হয়েছে। আজ-কালের মধ্যে জমিতে চারা রোপন করতে না পারলে ভাল ফলন পাওয়া যাবে না। কিন্তু জমিতে পানি না থাকায় চারা রোপন করতে পারছি না। স্যালোমেশিন বা সেচ মটারের মাধ্যমে পানি দিয়ে চারা রোপন করতে অনেক ব্যয় হচ্ছে। হালচাষ, সার, কীটনাশক, দিনমজুরসহ বিদ্যুতের ইউনিটের এবং তেলের দাম যে হারে বেড়েই চলতে তাতে  চাষাবাদ করে লাভ তো দুরের কথা লোকসান গুনতে হবে। কথাগুলো বললেন উপজেলার দহবন্দ গ্রামের কৃষক বাবু মিয়া।

বেশ কিছুদিন হতে বৃষ্টি না হওয়ায় গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় আমন মৌসুমে ধানের চারা রোপন নিয়ে বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা। একদিকে বীজতলায় চারার বয়স বেশি হচ্ছে অন্যদিকে জমিতে পানি নাই। উভয় সংকটে কৃষকরা। তবে অনেকে সেচের মাধ্যমে চারা রোপন শুরু করেছেন। বিশেষ করে তিস্তার চর এলাকার কৃষকরা দো-টানার মধ্যে রয়েছে।  

জুন হতে জুলাই মাসের মধ্যেই আমন চারা বীজতলা হতে তুলে জমিতে রোপন করতে হবে। তা না হলে ফলন বেশি ভাল হবে না। খুব বেশি হলে আগষ্টের ১৫দিন পর্যন্ত জমিতে চারা রোপন করা যাবে বললেন উপজেলা কৃষি অফিসার রাশিদুল কবির। তিনি বলেন, স্বল্পকালিন কিছু জাত রয়েছে ১১০ হতে ১২৭ দিনের মধ্যে ধান কেটে ঘরে তোলা যাবে। তবে সাধারণত ১৪৫দিনের মধ্যেই আমন ধান ঘরে তোলা যায়। জমিতে যে পানি রয়েছে তাতে করে অনেকে চারা রোপন করতে পারবে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য মোতাবেক ২/৩ দিনের মধ্যে বৃষ্টি হবে। তা না হলে সেচের মাধ্যমে চারা রোপন করা যাবে। বৈশ্বিক উষ্ণতার কারণে এ অবস্থা।

উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা, চলতি আমন মৌসুমে উপজেলার একটি পৌরসভা ও পনেরটি ইউনিয়নে আমন চাষের লক্ষমাত্রা ২৯ হাজার ৫৩৪ হেক্টর। ইতিমধ্যে ৩০-৪০ ভাগ জমিতে চারা রোপন করেছে কৃষকরা। পানি না থাকায় পুরোদমে চারা রোপন করতে পারছে না। আবার নিচু জমি বা জলাশয়ে সমুহে চারা রোপন করা সম্ভব হচ্ছে না এই মহুত্বে।

ঘন্টা হিসাবে সেচমটর হতে পানি নিয়ে আমন ধানের চারা রোপন করতে গেলে অনেক ব্যয় হবে। তাছাড়া ঘন ঘন লোড শেডিং এর কারণে সেচ মটর চালানো সম্ভব হচ্ছে না বলেন উপজেলার রামজীবন ইউনিয়নের সেচ মটর মালিক তাহসিন মিয়া। তিনি  ফুরৎ ফুরৎ বিদ্যুৎ যাওয়া আসার কারণে সেচমটর বার বার নষ্ট হচ্ছে। সে কারণে অসময়ে সেচ মটার চালু করতে চাচ্ছে না অনেকে।

বৃষ্টি পানি ছাড়া আমন ধানের চারা রোপন করে কোন লাভ না। কারণ প্রকৃতির পানি দিয়ে আমন ধান হয়। বৃষ্টি না হলে আমন ক্ষেতে প্রচুর পোঁকা মাকড় দেখা দেয় বলেন উপজেলার দহবন্দ ইউনিয়নের কৃষক মোনারুল ইসলাম। তিনি বলেন সেচের মাধ্যমে আমন চারা রোপন করলে ফলন তেমন ভাল হবে না। পাশাপাশি বহুবার বালাইনাশক দিতে হবে।  

 

একুশে সংবাদ/বিএইচ

Link copied!