ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) ছোড়া গুলিতে নাঈম (২৬) নামের এক যুবক গুরুতর আহত হয়েছেন। তিনি সীমান্তের বাংলাদেশের অভ্যন্তরে গরুর জন্য ঘাস কাটতে গিয়েছিলেন।
শনিবার (১০ আগস্ট) বেলা ১১টার সময় বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার আমজানখোর ইউনিয়নের কোটপাড়া সীমান্তে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ৩৮৫ নম্বর পিলারের কাছে এ ঘটনা ঘটে।
আহত নাঈম আমজানখোর ইউনিয়নের কালিতলা গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে। তিনি বর্তমানে ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
আহত নাঈম ও স্থানীয়রা জানান, বাংলাদেশের অভ্যন্তরে নিজস্ব কৃষি জমিতে কাজ করতে যান ওই গ্রামের কয়েকজন কৃষক। এসময় ভারতীয় বিএসএফ`র সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে । এতে আহত হন নাঈম।
পরে অন্যরা তাকে উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। এসময় নাঈমের সঙ্গে থাকা ব্যক্তিরা জানান, হঠাৎ দেখা মাত্র গুলি করেছে। নিজ জমিতে গরুর জন্য ঘাস কাটতে গিয়ে আজ গুলিতে আহত হতে হয়েছে। ভাগ্য ভালো মারা যায়নি। এসব বন্ধ করা হোক। না হলে কৃষক বাচঁতে কীভাবে।
গুলিবিদ্ধ যুবকের বাবা জাহাঙ্গীর আলম জানান, প্রতিদিনের মতো আজ শনিবার সকালে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে গরুর জন্য ঘাস কাটতে গিয়েছিলেন নাঈম। এ সময় ভারতের সাতভিটা ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা তাঁকে লক্ষ্য গুলি ছোড়েন। এতে পায়ে গুলিবিদ্ধ হন তিনি। পরে তাঁকে উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালের চতুর্থ তলার সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে।
আমজানখোর ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান আকালু (ডংগা) ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘হঠাৎ করেই বিএসএফ সদস্যরা হিংস্র হয়ে উঠেছেন। এমনটা আগে হয়নি সীমান্ত এলাকায়।’
ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) রকিবুল হাসান চয়ন বলেন, ‘পায়ের হাড় ভেঙে গেছে নাঈমের। তবে গুলি পাওয়া যায়নি। সার্জারি ওয়ার্ডে তাঁর চিকিৎসা চলছে।’
ঠাকুরগাঁও ৫০ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. তানজীর আহম্মদ জানান, এ ঘটনায় বিএসএফকে প্রতিবাদ জানিয়ে পতাকা বৈঠকের আহ্বান করা হয়েছে।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :