নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলায় সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে বন্ধ হলো বসতভিটা দখল করে ঘর নির্মানের কাজ। উপজেলার কালিকাপুর গ্রামের আব্দুর রহিমের স্ত্রী জরিনা বেগমের ক্রয়কৃত বসতভিটাতে মকসেদ মন্ডল ও তার সঙ্গীরা ভয়ভীতি দেখিয়ে ঘর নির্মান শুরু করে। এ বিষয়ে সেনাবাহিনীকে জানানো হলে ঘটনাস্থলে এসে গত বুধবার ঘর নির্মান কাজ বন্ধ করে সেনাবাহিনী। বসতভিটা দখলের চেষ্টা, ভয়ভীতি প্রদর্শণ ও হত্যার হুমকির প্রতিবাদে ও সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের নিকট প্রতিকার চেয়ে গত শনিবার সংবাদ সম্মেলন করেন শাহীন ও তার মাতা জরিনা বেগম সহ তাদের পরিবার।
শাহীন জানান, কালিকাপুর মৌজার আর.এস ২৭০০ নং দাগের ৪ শতাংশ ভিটা ১৯৮৪ সালের ৩৭৬০ নং দলিলমূলে ক্রয় ও খারিজের পর, টিনের ঘর তৈরী করে বসবাস করে আসছি ও কিছুদিন আগে পাকা ঘর নির্মানের জন্য ইট বালি ক্রয় করেছিলাম। দেশে চলমান আন্দোলনের মধ্যে সুযোগ নিয়ে মকসেদ মন্ডল আমার টিনের ঘর ভেঙ্গে ও অন্যান্য দ্রব্যসামগ্রী পাশের মাঠিয়ালে ফেলে দিয়ে, সেখানে আমাদের ইট-বালি দিয়ে ঘর নির্মান শুরু করে।
এ অবস্থায় সেনাবাহিনীকে জানানো হলে তারা ঘটনাস্থলে এসে মকসেদ মন্ডলকে উক্ত বিষয়ে জিঙ্গাসাবাদ করে ও কাগজপত্রাদি দেখতে চায়। কিন্তু যথাযথ উত্তর না পাওয়ায় সেনাবাহিনী তার নির্মান কাজ বন্ধ করে। পর থেকে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি ও হত্যার হুমকি দিয়ে আসছে তারা। সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের নিকট প্রতিকার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগীরা।
উল্লেখ্য, এ ভিটার বিষয়ে ইতোপূর্বে ২৬৫পি/২২ নং ফৌজদারী মামলায় মকসেদ মন্ডল পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা দেয় এবং ৪৩/২২ নং অ.প. মামলায় হেরে যায়।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :