চাঁদাবাজির অভিযোগে ঠাকুরগাঁও বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা যুবদলের যুগ্ন আহব্বায়ক ওমর ফারুক পান্নাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। রোববার (১১ আগষ্ট) রাত ১০ টার দিকে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক মকবুল হোসেন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা যায়।
এর আগে মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) উপজেলার লাহিড়ী হাট পাড়িয়া বাজারে এক দোকানে কয়েকজন মিলে চাঁদাবাজি করতে যায়। যার একটি ভিডিও এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে (ফেসবুক) ছড়িয়ে পড়লে তা মুহুর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়।
তবে ভিডিওতে ওমর ফারুক পান্না ছাড়াও উপজেলা সেচ্ছাসেবক দলের সাবেক নেতা আমান, ভানোর ইউনিয়নের যুবদলের সদস্য মামুন ও ছাত্রলীগ নেতা রায়হানও ছিলেন।
উপজেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক মো: মকবুল হোসেনের সাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) বিকেলে সাড়ে ৩টায় সনগাঁও এলাকার মৃত শরিফ উদ্দিনের ছেলে সাবেক যুবনেতা ওমর ফারুক পান্না বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার পাড়িয়া ইউনিয়নের পাড়িয়া বাজারে চাদাঁবাজির সময় উত্তোজিত জনতার হাতে আটক হয় এবং তার সঙ্গে থাকা লোকজন পালিয়ে যায়। উত্তেজিত জনতা পান্নাকে পাড়িয়া বাজার থেকে লাহিড়ী হাটে নিয়ে আসলে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জিল্লুর রহমান ও স্থানীয় লোকজনের সামনে চাদাঁর টাকা ফেরত দেয়ার কথা বললে তাকে ছেড়ে দেন।
বিজ্ঞপ্তি তো আরো বলা হয়, ওমর ফারুক পান্না ও তার সঙ্গীয় লোকজনের চাদাঁবাজির ঘটনাটি ফেসবুকসহ বিভিন্ন সোস্যাল মিডিয়ায় প্রচার হওয়ায় বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার বিএনপিসহ সকল অঙ্গ অসহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দের চরম বিদ্রুপ প্রক্রিয়া সৃষ্টি হয়। এতে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও দলের ভাবমূর্তি চরমভাবে ক্ষুন্ন হয়েছে। দলের ভাবমূর্তি স্বাভাবিক রাখার জন্য ওমর ফারুক পান্নাকে উপজেলা বিএনপির সকল পদ-পদবী থেকে চুড়ান্তভাবে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হলো। পাড়িয়া বাজারে ওমর ফারুক পান্না ছাত্রলীগ এবং যুবলীগ নেতাদের নিয়ে চাঁদাবাজি করে। ভিডিও ফুটেজে তার প্রমাণ মিলেছে।
অভিযোগ প্রসঙ্গে যোগাযোগ করা হলে ওমর ফারুক পান্না জানান, ব্যক্তিগত আক্রোশ ও দলীয় গ্রুপিংয়ের কারণে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। তা ছাড়া আমাকে ঠাকুরগাঁও জেলা যুবদল ও কেন্দ্রীয় যুবদল ছাড়া কেউ আমাকে বহিষ্কার করতে পারেন না। এটা উপজেলা বিএনপি যা করেছে, নিয়ম বহির্ভূতভাবে করেছে।’
আর ঠাকুরগাঁও জেলা যুবদলের মহেবুল্লাহ চৌধুরী আবু নুর বলেন, উপজেলা বিএনপি ওমর ফারুক পান্নাকে বহিষ্কার করার অধিকার রাখেনা। বহিষ্কার করতে পারে জেলা যুবদল ও কেন্দ্রীয় যুবদল। উপজেলা বিএনপি বহিষ্কারের সুপারিশ করতে পারেন।
বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক টিএম মাহাবুবর রহমান বলেন, ওমর ফারুক পান্নার চাঁদাবাজির ভিডিও ফুটেজ ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়। দলীয় ভাবমূর্তি রক্ষায় এবং পরবর্তীতে এমন কোন ঘটনা না ঘটে সে জন্যই তাঁকে বহিষ্কার করা হয়েছে। পরবর্তীতে দলের কেউ যদি সহিংসতা, ভাঙচুর, চাঁদাবাজির সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়, তাঁর প্রমাণ পেলে আমরা তাঁদের বিরুদ্ধেও সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেব। ইতিমধ্যেই পদক্ষেপ নেওয়া শুরু হয়েছে।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :