চাঁপাইনবাবগঞ্জের রঘুনাথপুর সীমান্তে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশের দায়ে গত ১৮ আগস্ট ৫ ভারতীয় নাগরিককে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
এ সময় তাদের কাছ থেকে তিনটি গরু, দুটি নৌকা ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। এসব ভারতীয়কে ছাড়িয়ে নিতে গত রোববার ও সোমবার বিজিবির সঙ্গে একাধিক পতাকা বৈঠক করে ভারতের বিএসএফ। কিন্তু তাদের ফেরত দেয়নি বিজিবি। বরং তাদের পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে।
বিএসএফের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস। এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে ভারতীয় নাগরিকদের ছাড়তে বিজিবি অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
বিএসএফ এর এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা দাবি করেছেন, গত ১৭ আগস্ট রাতে বিএসএফের মালদা ১১৫ ব্যাটালিয়ন পাঁচ মাঝিকে ডাকে। ওই সময় গঙ্গা নদী দিয়ে গরু চোরাচালান করা হচ্ছিল। ওই গরুগুলো উদ্ধারের জন্য পাঁচ মাঝিকে দুটি নৌকায় করে পাঠানো হয়।
ওই সময় মাঝিরা গিয়ে দেখতে পান কয়েকটি গরুগুলোকে ভাসমান কলা গাছের সঙ্গে বেধে রাখা হয়েছে। গরুগুলো উদ্ধারের সময় একটি নৌকা নদীর ঘূর্ণিতে ধাক্কা খায় এবং ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যায়। তখন অপর আরেকটি নৌকা ইঞ্জিন বিকল হওয়া নৌকাটিকে উদ্ধারের চেষ্টা চালায়। কিন্তু নদীর পানির বৃদ্ধি ও ঢেউ থাকায় তারা ভেসে বাংলাদেশে চলে আসেন। এরপর তাদের আটক করে বিজিবি।
এদিকে বিএসএফ’র সঙ্গে পতাকা বৈঠকের কথা স্বীকার করেছেন বিজিবির ৫৩ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মনির-উজ-জামান। গনমাধ্যমকে তিনি বলেন, বিএসএফ দাবি করে আটকৃত পাঁচজন তাদের নিয়োগকৃত মাঝি। কিন্তু তারা বাংলাদেশ সীমান্তে অবৈধভাবে প্রবেশ করায় আটক করা হয়েছে। এজন্য তাদের ফেরত দেয়া হয়নি।
বিষয়টি নিয়ে বিএসএফের সাউথ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ারের ডিআইজি একে আর্য হিন্দুস্তান টাইমসকে বলেন, ‘পরবর্তীতে কয়েক দফা পতাকা বৈঠক হয়। দুই দেশের বাহিনীর মধ্যে ভালো সম্পর্কের কথা বিবেচনা করে তাদের ছেড়ে দিতে বলা হয়। কিন্তু বিজিবি আমাদের কাছে মাঝিদের হস্তান্তর করতে অপরাগতা জানায়। ভুলক্রমে বাংলাদেশে প্রবেশ করা আমাদের মাঝিদের এবারই প্রথমবারের মতো ছেড়ে দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে বিজিবি।’
একুশে সংবাদ/চ.ট/এনএস
আপনার মতামত লিখুন :