চট্টগ্রামে পটিয়ায ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর সারাদেশের মত চট্টগ্রামের পটিয়ায়ও স্থানীয় সরকারের জনপ্রতিনিধিদের অনেকেই আত্মগোপনে চলে যায়। উপজেলা পরিষদ থেকে শুরু করে পৌরসভা, ইউনিয়ন পরিষদের প্রায় সব শীর্ষপদই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের দখলে ছিল।
এ অবস্থায় ব্যাহত হচ্ছিল স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রম। এমন পরিস্থিতিতে ইউনিয়ন পরিষদের জন্ম ও মৃত্যু সনদ পেতে বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে উপজেলায় কর্মরত বিভিন্ন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব অর্পণ করে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে পটিয়া উপজেলা প্রশাসন।
গত বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) বিকেলে পটিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে এ বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। এতে উল্লেখ করা হয়, জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চট্টগ্রামের স্থানীয় সরকার শাখার স্মারক নং ০৫,৪২,১৫০০,৭০১.৭০.০১১.২৩.৪২৮ মূলে পটিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় উপর্যুক্ত বিষয় ও সূত্রোক্ত স্মারকের প্রেক্ষিতে সম্প্রতি উদ্ভূত বিশেষ পরিস্থিতির কারণে ইউনিয়ন পরিষদসমূহে অননুমোদিতভাবে কর্মস্থলে অনুপস্থিত ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানগণের ক্ষেত্রে দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তাকে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধকের দায়িত্ব প্রদান এবং তাদের নামে ইউজার আইডি ও পাস ওয়ার্ড প্রদানের নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
এমতাবস্থায়, সূত্রোক্ত স্মারকে প্রেরিত পত্রের নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে পটিয়া উপজেলার নিম্নবর্ণিত ইউনিয়ন পরিষদসমূহের নামের পাশে বর্ণিত কর্মকর্তাকে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধকের দায়িত্ব প্রদান করা হল।
কোলাগাঁও ইউনিয়নে উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা মো. রাসেল চৌধুরী, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা চন্দন চক্রবর্তী হাবিলাসদ্বীপ, সহকারী শিক্ষা অফিসার মো. আলা উদ্দিন কুসুমপুরা, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. শাহাবুদ্দিন জিরি, উপ-সহকারী প্রকৌশলী (এলজিইডি) সফিকুল ইসলাম কাশিয়াইশ, একাডেমিক সুপারভাইজার বাবুল কান্তি দে আশিয়া, উপ-সহকারী প্রকৌশলী (এলজিইডি) অনুপম সিকদার বড়লিয়া, উপজেলা তথ্য কর্মকর্তা উজ্জ্বল শীল জঙ্গলখাইন, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রবিউল হোসেন ধলঘাট, ম্যানেজার পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক গৌতম সেন কেলিশহর, উপজেলা শিক্ষা অফিসার আব্দুল মজিদ হাইদগাঁও, সহকারী প্রকৌশলী জনস্বাস্থ্য সৌম্য চৌধুরী দক্ষিণ ভূষি, উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা স্বপন চন্দ্র দে ভাটিখাইন, সহকারি প্রোগ্রামার মৃন্ময় দাশ কচুয়াই, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা তপন কুমার রায় খরনা এবং উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. ইলিয়াছ শোভনদণ্ডী ইউনিয়নে দায়িত্ব পালন করবেন।
এর আগে এক আদেশ জারির মাধ্যমে উপজেলা ও পৌর মেয়রের বিষয়ে ও বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ করে অন্তবর্তী সরকার। উপজেলা চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আলাউদ্দিন ভূঞা জনী। পরে অধ্যাদেশের মাধ্যমে আইন সংশোধন করে মেয়র-চেয়ারম্যানদের অপসারণ করে প্রশাসক নিয়োগের সুযোগ সৃষ্টি হয় সরকারের।
একুশে সংবাদ/এনএস
আপনার মতামত লিখুন :