AB Bank
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

সহপাঠীর গল্প শুনে ড্রাগন চাষে উদ্বুদ্ধ, বছরে আয় চার লাখ টাকা


সহপাঠীর গল্প শুনে ড্রাগন চাষে উদ্বুদ্ধ, বছরে আয় চার লাখ টাকা

রংপুরের গঙ্গাচড়ায় ড্রাগন চাষে সফল হয়েছেন মাজহারুল কবির কাকঁন। তিনিই প্রথম বাণিজ্যিকভাবে ড্রাগন ফলের চাষ শুরু করেন। তবে এখন তার দেখাদেখি অনেকে শুরু করেছেন এ ফলের চাষ।


মাজহারুলের বাড়ি রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার গজঘণ্টা ইউনিয়নের বাবুপাড়া গ্রামে। তিনি ঢাকার স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা চলাকালীন মাজহারুল কবির জানতে পাড়েন তার বন্ধু মালেক শিকদার লেখাপড়ার পাশাপাশি তাঁর গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইলে ড্রাগন ফলের চাষ করতেন। তারা একসঙ্গে আড্ডায় বসলেই প্রায় সময় মালেক নিজের ড্রাগন ফলের বাগানের গল্প শোনাতেন। বন্ধুর মুখে গল্প শুনে ড্রাগন চাষে উদ্বুদ্ধ হয়ে স্বল্প পরিসরে ড্রাগন চাষ শুরু করেন মাজহারুল। পরবর্তী তিনি লেখাপড়া শেষে চাকুরীর পিছনে না ছুটে ড্রাগন চাষেই লেগে পড়েন। এখন মাজহারুল বছরে প্রায় ৪ লাখ টাকা আয় করছেন।

জানা গেছে, মাজহারুল বিশ্ববিদ্যালয় পড়াকালীন ৪৫ শতক পরিত্যক্ত জমিতে ড্রাগন চাষ শুরু করেন। চারা রোপণের ১১ মাসের মধ্যেই গাছে ফলন আসে। প্রথম দফায় ফল বিক্রি করে পান দেড় লাখ টাকা। এরপর আরো নতুন চারাগাছ রোপন করে তার ড্রাগনবাগানে মোট গাছ বেড়ে ১ হাজারে পৌঁছে যায়। সে গাছগুলো থেকে ফল বিক্রি করে বছরে পেয়েছেন প্রায় ৪ লাখ টাকা। বর্তমানে তার আরো একটি ১৬০ শতকের জমিতে বাগান তৈরীর কাজ চলছে। আশা করছেন সে বাগানটি থেকেও আশানুরুপ ফল পাবেন। 

মাজহারুল কবীর ড্রাগন ফল চাষের পাশাপাশি ড্রাগনের চারাও উৎপাদন করছেন। তাঁর কাছ থেকে অনেকে বাসাবাড়িতে লাগানোর জন্য কিনে নিয়ে যাচ্ছেন ড্রাগনের চারা। মাজহারুল শুধু ড্রাগন চাষই করেন না এর পাশাপাশি পোলট্রি মুরগিও পালন করেন। সেখান থেকেও বছরে প্রায় দুই লাখ টাকা আয় হয়। বর্তমানে ব্লাক সোলডার ফ্লাই পোকাও চাষ শুরু করেছেন।

মাজহারুল কবীর বলেন, লেখাপড়া শেষে চাকরির পিছে না ছুটে বন্ধুর অনুপ্রেরণায় ও তার বড় ভাই মাহবুবুল কবির মুন্নার সহযোগিতায় ২০২০ সালে নিজ উদ্যোগে তৈরি করেছেন ড্রাগনবাগান ও পোলট্রি মুরগির খামার। বর্তমানে তার বাগানে মোট ৪ হাজার ড্রাগন গাছ রয়েছে। এখন তাকে দেখে অনেকেই উৎসাহ পেয়ে ড্রাগন চাষ শুরু করছেন।

 

একুষে সংবাদ/বিএইচ

Link copied!