দেশে বন্যা পরিস্থিতির কারণে সীমিত পরিসরে ফরিদপুরে পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের ৫২৫০ তম আবির্ভাব তিথি জন্মাষ্টমী উপলক্ষে মঙ্গল শোভাযাত্রা বের করা হয়েছে।
বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান কল্যাণ ফ্রন্ট, ফরিদপুর জেলা ও মহানগর শাখার আয়োজনে,(২৬ আগস্ট) সোমবার সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে শহরের শ্রীধাম শ্রীঅঙ্গন প্রাঙ্গণ থেকে একটি মঙ্গল শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে ভাঙা রাস্তার মোড় হয়ে পুনরায় শ্রীঅঙ্গন প্রাঙ্গণে গিয়ে শেষ হয়। উৎসবমুখর পরিবেশে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রায় অংশ নেন সনাতন ধর্মাবলম্বী নারী, পুরুষ ও ভক্তবৃন্দরা।
বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান কল্যাণ ফ্রন্টের ফরিদপুর জেলার আহবায়ক নিতাই রায় এর সভাপতিত্বে, এসময় জেলার সদস্য সচিব শুব্রত রবি দাস, মহানগর কমিটির আহ্বায়ক নরেশ সরকার, মহানগর সদস্য সচিব এ্যাডভোকেট বিশ্বনাথ সরকার (স্বাধীন), মহানগর যুগ্ম আহবায়ক বরুণ রবি দাস, মহিলা সম্পাদিকা চন্দ্রা দেবনাথ, যুগ্ন আহবায়ক সঞ্জয় রায়, যুগ্ন আহবায়ক সুব্রত রায়সহ সংগঠনের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
আহবায়ক নিতাই রায় জানান, সনাতন ধর্মালম্বীদের মতে, ভগবান বিষ্ণুর একটি বিশেষ রূপ হিসেবে মানা হয় শ্রীকৃষ্ণকে। ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে পৃথিবীতে সাকার রূপে আবির্ভূত হন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ। তাঁর আবির্ভূত হওয়ার এই দিনটিই শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী নামে পরিচিত। তিনি বলেন, শ্রীকৃষ্ণের শুভ জন্মাষ্টমী উপলক্ষে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে দিনটি উদযাপন করে থাকেন। এই দিন ভক্তরা শ্রীকৃষ্ণের সান্নিধ্য লাভের আশায় ধর্মীয় রীতিনীতি মেনে মন্দির ও বাসাবাড়িতে নানান ধর্মীয় অনুষ্ঠানাদি পালন করে থাকেন। তিনি, দেশের একাংশ দুর্ভোগ-দুর্দশা আর অন্য একাংশ উৎসব উদযাপন করা এটা হতে পারে না। তাই সীমিত পরিসরে জন্মাষ্টমী উৎসবের ব্যয় কমিয়ে সবাই মিলে বন্যাদুর্গতদের পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়। তিনি আরো বলেন, ফরিদপুরের পুলিশ প্রশাসন অনুষ্ঠানটি যথাযথ ও সুন্দর পরিবেশে উদ্যাপনের জন্য হিন্দু ধর্মালম্বীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কঠোর ভূমিকা নিয়েছেন।
এদিকে শোভাযাত্রা অনুষ্ঠানটি যাতে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয় ফরিদপুর জেলা পুলিশ সকাল থেকেই আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ফরিদপুরের প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) রামানন্দ পালসহ সেনাবাহিনী ও পুলিশের পাশাপাশি সকল প্রকার সাদা পোষাকে গোয়েন্দা নজরদারী ব্যবস্থা ছিলো।
জন্মাষ্টমী উপলক্ষে শহর এবং গ্রামের বিভিন্ন মন্দির প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠান মালায় রয়েছে গীতাযজ্ঞ, কীর্তন, আরতি, প্রসাদ বিতরণ ও ধর্মীয় আলোচনা সভা প্রভৃতি।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :