চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শাখার ফেমাস ট্রুর ট্রাভেলস`র এমডি শামিম আহম্মেদ শ্যাম বাবু ও জিএম সেলিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে প্রতারণার মাধ্যমে ফিজি রাস্ট্রে পাঠানোর নামে প্রায় অর্ধকোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে আত্মগোপনে চলে গেছেন মর্মে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এঘটনায় রাজশাহীর তানোর উপজেলার মুন্ডুমালা পৌর এলাকার জগদ্বীশপুর গ্রামের ইউলিয়াম কিস্কু বাদী হয়ে ২০২৩ সালে চাপাইনবয়াবগঞ্জ সদর মোকাম- আমলী আদালতে মামলা দায়ের করেন।
মামলায় আসামী করা হয় ফেমাস ট্রুর ট্রাভেলস`র জিএম সেমিল আহম্মেদ (৫২), চাপাইনবাবগঞ্জ শাখা, নিমতলা ফকিরপাড়া, সে মৃত আব্দুল হান্নানের পুত্র ও শামিম আহম্মেদ শ্যাম বাবু(৪৫) এমডি ফেমাস ট্রুর ট্রাভেলস, চাপাইনবয়াবগঞ্জ শাখা, নিমতলা ফকির পাড়া, সে মৃত আব্দুল হান্নানের পুত্র, এবং দালাল বারোঘরিয়া কুমার পাড়া এলাকার আমির হোসেন(৪৬) সে মৃত সুজা উদ্দিনের পুত্র।
এই তিন প্রতারক সিন্ডিকেট করে একাধিক ব্যক্তিকে বিদেশ পাঠানোর নামে প্রায় অর্ধকোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে গা-ঢাকা দিয়েছে। তবে তাদের স্বজনেরা মামলা তুলে নিতে বাদিকে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি ও হুমকি দিচ্ছে।
মামলায় বলা হয়েছে, ফেমাস ট্রুর এ্যান্ড ট্রাভেলস, চাঁপাইনবাবগঞ্জ শাখার জিএম সেলিম আহম্মেদ ও এমডি শামিম আহম্মেদ শ্যাম বাবু তাদের নিয়োগকৃত দালাল আমির হোসেনের মাধ্যমে বিদেশ পাঠানোর নামে প্রায় অর্ধকোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। ৩ নম্বর আসামির প্ররোচনায় ১ ও ২ নম্বর আসামির কথামত বাদিকে ফিজি রাষ্ট্রে পাঠানোর প্রলোভন দিয়ে টাকা হাতিয়ে নেয়। চাঁপাইনবাবগঞ্জের নিমতলা ফকিরপাড়া ফেমাস ট্রুর এ্যান্ড ট্রাভেলস-এর কার্যালয়ে এসব টাকা লেনদেন করা হয়।
ফেমাস ট্রুর ট্রাভেলস এর ০০৬ নম্বর রশিদে ৩,৫০,০০০ টাকা, ০১৫ নম্বর রশিদে ১,৩০,০০০ টাকা, ০১৩ নম্বর রশিদে ৩,৫০,০০০,০০৪ নম্বর রশিদে ২,৫০,০০০ টাকা, ০১৩ রশিদে নম্বরে ২,৫০,০০০ টাকা, ০০৫ নম্বর রশিদে ৩,৪৫,০০০ টাকা, ০০১ নম্বর রশিদে ৩,৩৯,০০০ টাকা,০০২ নম্বর রশিদে ৩,২০,০০০ টাকা, ০১১ নম্বর রশিদে ৩,৫০,০০০ টাকা, ০০৭ নম্বর রশিদে ৩,৫০,০০০ টাকা ০০৩ নম্বর রশিদে ৩,৫০,০০০ টাকা, ০০৯ নম্বর রশিদে ১,১০,০০০ টাকা এবং ০১৪ নম্বর রশিদে ৩,৪৫,০০০ টাকা। এসব ব্যক্তিদের (ফিজি) বিদেশ পাঠানোর নামে `ফেমাস টুর এন্ড ট্রাভেলস` সর্বমোট ৪১ লাখ ৯৯, হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। কিন্ত্ত টাকা হাতিয়ে নেয়ার পর থেকে তার গা-ঢাকা দিয়েছে। এদিকে শ্রমজীবী এসব মানুষ তাদের কস্টার্জিত অর্থ প্রতারকদের হাতে তুলে দিয়ে নিঃস্ব হয়ে পথে বসেছে। এবিষয়ে জানতে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও মামলার আসামিদের মুঠোফোন বন্ধ থাকায় তাদের কোনো বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
মামলার বাদী ও ভুক্তভোগীরা জানান, বিগত ২০২৩ সালে মামলা করা হলেও রহস্য জনক কারনে কোন প্রতিকার পায়নি। আসামীরা শুধু আমাদের কাছে আরো অনেকের কাছে বিদেশে পাঠানোর নামে টাকা হাতিয়ে নিয়ে পথের ফকির করে দিয়েছেন। এক বছর অতিবাহিত হলেও মামলার কোন গতি নেই। আসামীর অত্যান্ত প্রভাবশালী। তাদের টাকার কোন অভাব নেই। স্বৈরাচার মুক্ত হয়েছে দেশ। এখন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশ পরিচালনা করছেন। এই সরকারের কাছে আমাদের মিনতী যেন আমরা ন্যায় সঠিক বিচারের মাধ্যমে খোয়া যাওয়া টাকা যাতে করে ফেরত পায়।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :