AB Bank
ঢাকা শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

রূপপুর প্রকল্পের শ্রমিককে অপহরণের ৬ দিন পর মিলল মরদেহ


Ekushey Sangbad
জেলা প্রতিনিধি, পাবনা
০৯:১৩ পিএম, ৩১ আগস্ট, ২০২৪
রূপপুর প্রকল্পের শ্রমিককে অপহরণের ৬ দিন পর মিলল মরদেহ

পাবনার ঈশ্বরদীতে রূপপুর প্রকল্পের শ্রমিক সিরাজ ফকিরকে (৬৫) অপহরণ করে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারীরা। অপহরণের ছয়দিন পর তার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শনিবার (৩১ আগস্ট) বিকেলে ঈশ্বরদী পৌর শহরের রহিমপুর এলাকার তিনতলা একটি বাড়ির বাথরুম থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

নিহত সিরাজ ফকির উপজেলার লক্ষীকুন্ডা ইউনিয়নের কৈকুন্ডা গ্রামের মৃত জলিল ফকিরের ছেলে। তিনি রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে একটি কোম্পানিতে শ্রমিক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

স্থানীয়রা জানান, নিহত সিরাজ ফকির তার গ্রামের বাড়ি থেকে নিয়মিত রূপপুর প্রকল্পে চাকরি করতে যেতেন। সাত-আট বছর আগে তার স্ত্রী মারা যান। কয়েকদিন আগে তিনি রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে ডিউটিতে গিয়ে বাড়িতে ফিরে আসেননি। এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে গত ২৬ আগস্ট ঈশ্বরদী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়।

নিহতের শ্যালক রাসেল রানা জানান, সিরাজ ফকিরের দুই ছেলে রয়েছে। নিখোঁজের পর অজ্ঞাত ব্যক্তিরা সিরাজ ফকিরের ছোট ছেলের কাছে মুঠোফোনে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে আসছিলেন। এরপর থেকে তার আর কোনো খোঁজ পাননি পরিবারের সদস্যরা।

নিহতের ছেলে আল-আমিন হোসেন বলেন, গত ২৪ আগস্ট রূপপুর প্রকল্প থেকে কাজ শেষে ঈশ্বরদী শহরের যাওয়ার পথে আমার বাবা নিখোঁজ হন। ওইদিনই দুপুর ২টার দিকে বাবার ফোন দিয়ে আমাকে একজন বলেন, তোমার বাবা আমাদের কাছে আটক আছে। তুমি র‌্যাব-পুলিশের সঙ্গে কথা বলে লাভ হবে না। ১০ লাখ টাকা ২৬ আগস্ট সন্ধ্যার মধ্যে দিতে হবে। না হলে তোমার বাবাকে মেরে ফেলা হবে। ২৬ আগস্ট রাতে আমি ঈশ্বরদী থানায় জিডি করি। এরপর বাবার নম্বরে যোগাযোগের চেষ্টা করি। কিন্তু পাইনি। শনিবার দুপুরে জানতে পারি আমার বাবার মরদেহ রহিমপুরের শরিফুল ইসলাম বুলবুলের বাড়িতে পাওয়া গেছে।

বাড়ির মালিক শরিফুল ইসলাম বুলবুল জানান, গত ২২ আগস্ট উপজেলার বড়ইচরা গ্রামের আজিবর রহমানের ছেলে শাহজাহান আলী (২৮) সস্ত্রীক আমার বাড়ির চারতলার একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নেন। ২৭ আগস্ট একমাসের ভাড়ার টাকা দিয়ে তারা বাড়ি থেকে বাইরে চলে যান। এরপর থেকে ফ্ল্যাটটি তালাবদ্ধ ছিল। গত দু’দিন ধরে চারতলার এ ফ্ল্যাট থেকে পঁচা গন্ধ বের হতে থাকলে শনিবার সকালে আমি পুলিশে খবর দেই। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে সিরাজ ফকিরের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে।

এদিকে রহিমপুর এলাকার বাসিন্দারা জানান, সিরাজ ফকির গত ২৩ আগস্ট ওই এলাকার শরিফুল ইসলাম বুলবুলের ভাড়া বাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসেবে উঠেন। এসময় তার সঙ্গে ‍‍`নাতি ও নাতির বউ‍‍` পরিচয়ে দুজন নারী-পুরুষ ওই বাড়িতে থাকা শুরু করেন। সঙ্গে সিরাজ ফকিরও থাকতেন। তবে মরদেহ উদ্ধারের থেকে সিরাজ ফকিরের কথিত নাতিকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার গোস্বামী বলেন, ঘটনাটি শোনার সঙ্গে সঙ্গে আমিসহ পুলিশ সদস্যরা এসে উপস্থিত হয়েছি। প্রাথমিক তদন্ত কাজ চলমান রয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। তদন্ত শেষে আরো বিস্তারিত জানতে পারব।

 

একুশে সংবাদ/এনএস

Link copied!