খাগড়াছড়ির রামগড়ে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তবর্তী ফেনী নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ দুই কিশোরের একজনের সন্ধান মিললেও জীবিত পাওয়া যায়নি তাকে। নিখোঁজের তৃতীয় দিনে আবদুল জব্বারের ছেলে বাদশার (১৬) লাশ ফেনীর কুলে ভেঁসে উঠে। পরে স্থানীয়রা খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। তবে, নিখোঁজ হওয়া আরেক কিশোর পৌরসভার শ্বাশানটিলা গ্রামের মো: শফিকের ছেলে মো: নয়নের (১৩) এখনো কোন সন্ধান মেলেনি।
গত বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) বিকেলে ফেনী নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ হয় রামগড় উপজেলার ফেনীরকুলের নামার চর এলাকার মো. বাদশা (১৬)। তার আগেরদিন বল্টুরাম টিলা এলাকায় মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ হয় মো. নয়ন নামের ১২ বছরের আরেক কিশোর।
এরআগে শুক্রবার দুপুরে ফেনী নদীতে দুই ঘণ্টার উদ্ধার অভিযান শেষে নিখোঁজদের কোনো সন্ধান না পেয়ে অভিযানের আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি ঘোষণা করে ফায়ার সার্ভিসের চট্টগ্রাম আগ্রাবাদের ডুবুরি দলের সাব অফিসার মো. জসিম উদ্দিন বলেন, নদীতে প্রচণ্ড শ্রোত রয়েছে। সম্ভাব্য জায়গাগুলো তল্লাশি করা হয়েছে। কোথাও সন্ধান না পাওয়ায় অভিযান সমাপ্ত করা হয়েছে।
সম্প্রতি শেষ হওয়া দেশের স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়ে খাগড়াছড়ির সীমান্তবর্তী উপজেলা রামগড়। বন্যার পর গত কয়েকদিন যাবত শতশত মানুষ রাত-দিন রামগড়ের ফেনীরকুলের নামার চর এলাকায় বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তবর্তী ফেনী নদীতে মাছ ধরে আসছিল। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি প্রচারিত হলে হাটহাজারী, ফটিকছড়ি, ফেনীসহ বিভিন্ন স্থান থেকে প্রতিদিন কয়েক হাজার সৌখিন এবং পেশাদার মৎস্য শিকারী ফেনী নদীতে মাছ ধরতে জড়ো হয়। এরমধ্যেই ঘটে এই অনাকাঙ্খিত ঘটনা।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :