নেত্রকোনার মদন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের তেল বরাদ্দ না থাকায়। পেট্রোল পাম্প কর্তৃপক্ষ তেল সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে। এ অবস্থায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সরকারি এম্বুলেন্সটি এক মাসের ও অধিক সময় ধরে বন্ধ রয়েছে। বেসরকারি এম্বুলেন্স ভাড়া করতে গিয়ে রোগীর স্বজনদের গুনতে হচ্ছে দ্বিগুন টাকা।জরুরী রোগীরা পোহাচ্ছেন চরম ভোগান্তি।
হাওর বেষ্টিত এই উপজেলাটিতে বিভিন্ন দূর দূরান্তের গ্রাম অঞ্চলের সাধারণ লোকজন চিকিৎসা সেবা নিতে আসেন, এ ছাড়া খালিয়াজুড়ি উপজেলা থেকেও অনেকেই আসেন চিকিৎসা নিতে এই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেটিতে। প্রতিদিন ৪-৫ শত জনকে চিকিৎসা সেবা দিয়ে থাকেন। প্রায় ১ মাস ধরে অ্যাম্বুলেন্সটি বন্ধ থাকায় বিপাকে রুগীরা। বিশেষ করে ডেলিভারি ও মুমূর্ষ রুগীরর স্বজনদের গুনতে হচ্ছে দ্বিগুন টাকা অধিক টাকা দিয়েও সময়মতো মিলছে না অ্যাম্বুলেন্স
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের তথ্য অনুযায়ী ২২/২৩অর্থ বছর থেকে ২০২৪ শে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বকেয়া রয়েছে ১৩ লক্ষ ৬৭হাজার ১২৮ টাকা বকেয়ার কারণে গত ১/৬/২০২৪ মে থেকে পাম্প কর্তৃপক্ষ তেল সরবরাহ বন্ধ করে দেয়।এর মধ্যে বকেয়া ৫ লক্ষ টাকা পরিশোধ করেন কর্তৃপক্ষ। কিছুদিন এম্বুলেন্সিটি চলে বকেয়া পরিশোধ না করায় আবারও ২/৮/২০২৪ থেকে ১( মাস) ধরে পাম্প কতৃপক্ষ তেল সরবরাহ বন্ধ করে দেয়ায়। এতে চরম বিপাকে পড়েছে রুগী ও তার স্বজনেরা।
৫০ সজ্জা বিশিষ্ট এই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে সরকারি এম্বুলেন্সটি বন্ধ থাকায় রোগীদের ভোগান্তি যেন শেষ নেই। বেসরকারি এম্বুলেন্স, মাইক্রোবাস,ও সিএনজি করে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যেতে গুনতে হয় দ্বিগুন টাকা।
সরকারিভাবে যেখানে ১৪৫০ টাকায় যাওয়া ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যাওয়া যেত । বর্তমানে সরকারি অ্যাম্বুলেন্সটি বন্ধ থাকায় বাহির থেকে এম্বুলেন্স নিতে ২ হাজার ৮ শত টাকায় দিয়ে যেতে হয়। অনেক সময় অধীক টাকা দিয়েও পাওয়া যায় না।
পৌরসদরের স্থায়ী বাসিন্দা ফজলুল হক ভূঁইয়া, বলেন এই হাসপাতলে দুটি এম্বুলেন্স রয়েছে একটি অনেক দিন পূর্বেই নষ্ট হয়ে পড়ে রয়েছে অন্যটি ভাল থাকলেও বন্ধ রয়েছে। সরকারি এম্বুলেন্সটি মানুষ জরুরী রোগীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য নেত্রকোন,, ময়মনসিংহ,ও ঢাকায় নিয়ে যেতে পারত মাত্র ১৪৫০ টাকায়। কিন্তু সরকারি এম্বুলেন্সটি বন্ধ থাকায় এক শ্রেণীর অসাধুচক্র এই সুযোগে দিগুন টাকা বৃদ্ধি করেছে। এখন বেশি টাকা দিয়ে এম্বুলেন্স ভাড়া করে নিয়ে যেতে হচ্ছে। এমনকি মাঝে মাঝে টাকা দিয়েও পাওয়া যায় না প্রায় ১ মাস ধরে এম্বুলেন্সি বন্ধ রয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের আর এম ও ডাঃ তায়েবের সাথে কথা বললে তিনি বলেন জ্বালানি তেল সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান প্রায় ১৪ লক্ষ টাকা বাকি পড়ায় এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। ৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দ পেয়ে কিছুদিন আমরা অ্যাম্বুলেন্স সচল রেখেছিলাম। বর্তমানে তেলের বরাদ্দ না থাকায় সরকারি এম্বুলেন্সটি বন্ধ রয়েছে।আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবগত করেছি।
নেত্রকোনা জেলার সিভিল সার্জন ডাঃ অনুপ ভট্টাচার্য্য বলেন তেল বরাদ্দ না থাকায় অ্যাম্বুলেন্স বন্ধ রয়েছে। আমি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে লিখিতভাবে অবগত করেছি।টাকা বরাদ্দ পেলে অ্যাম্বুলেন্স সচল করার হবে।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :