AB Bank
ঢাকা শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

থানচিতে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জুম চাষীদের বিশেষ ত্রাণ বিতরণ


Ekushey Sangbad
চিংথোয়াই অং মার্মা, থানচি, বান্দরবান
০৬:৫০ পিএম, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
থানচিতে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জুম চাষীদের বিশেষ ত্রাণ বিতরণ

নেটওয়ার্ক বিহীন বাংলাদেশ ও মায়ানমার সীমান্তবর্তী ঘেঁষা বান্দরবানে থানচিতে দুর্গম এলাকায় বসবাসরত জনসাধারণের মধ্যে বেশির ভাগ জুম চাষের উপর নির্ভরশীল। জুম চাষিরা বছরের এই সময়ে মধ্যে খাদ্যের অভাবে সম্মুখীনে হতে হয়। চলতি বছরের ওই এলাকায় খাদ্য ঘাটতির দেখা দিলে জুম চাষীদের খাদ্যাভাব দূর করতে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জুম চাষীদের বিশেষ ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) উপজেলার দুর্গম রেমাক্রী ইউনিয়নের কয়েকটি পাড়ার বাসিন্দাদের খাদ্যভাব দেখা দেন। তাদের গত বছরে জুমের ফলন বন্যার কারণে ক্ষতির সম্মুখীনে পর্যাপ্ত ধানের ফলন পাননি। চলতি বর্ষা মৌসুমে জুমের ধান পাকঁতে না পাকঁতে খাদ্যাভাব দেখা দিলে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জুম চাষীদের বিশেষ ত্রাণ বিতরণ করা হয়। ওখানকার ওই এলাকায় ৯৫ শতাংশ মানুষের জুম চাষের উপর নির্ভরশীল।

একদিকে বর্ষা মৌসুমে নৌ পথে যোগাযোগ খারাপ অবস্থা থাকায় দুর্গম এলাকায় কিছু সময়ের জন্য প্রতি বছর সাময়িকভাবে খাদ্যাভাব দেখা দেয়। উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বিশেষ ত্রাণ বিতরণ কালে ৬ নং ওয়ার্ড মেম্বার মাংচং ম্রো, ৯ নং ওয়ার্ড মেম্বার বিদ্রজয় ত্রিপুরা ও নিরাপত্তা বাহিনীর বিজিবি‍‍`র সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। এসময় শতাধিক পরিবারের মাঝে চাল, ডাল, তেল ও লবনসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।

রেমাক্রী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মাংচং ম্রো ও বিদ্রজয় ত্রিপুরা জানান, মায়ানমার সীমান্তবর্তী ঘেঁষা সাঙ্গু রিজার্ভের দুর্গম এলাকায় গ্রামগুলোতে খাদ্য ঘাটতির দেখা দিলে শতাধিক পরিবারের জন্য উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে চাল, ডাল, তেল, লবণসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি সহযোগিতার প্রদান করা হয়েছে। ওই এলাকায় মানুষের খাদ্য ঘাটতির পূরণের কিছুটা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসছে। খাদ্য ঘাটতির সময়ে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য ওই এলাকায় বাসিন্দারা উপজেলা প্রশাসন, দাতাসংস্থাসহ জনপ্রতিনিধিদের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তাঁরা।

রেমাক্রী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুইশৈথুই মারমা (রনি) বলেন, আমার ইউনিয়নের দুর্গম ৬ ও ৯ নং ওয়ার্ডের কিছু পাড়ায় খাদ্যের ঘাটতির দেখা দিলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাধ্যমে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য দ্রব্য সহায়তা দেয়া হয়েছে। আশাকরি এই বিশেষ ত্রাণ মধ্যদিয়ে ধান পাকার সময়ের মধ্যে খাদ্য অভাব দূর হয়ে যাবে।

থানচি নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোহাম্মদ মামুন বলেন, দুর্গম সীমান্তের গ্রামগুলো নেটওয়ার্কের আওতায় না থাকার কারণে সব ক্ষেত্রে যোগাযোগের সম্ভব হয়নি।

তিনি আরো বলেন, ওখানকার কয়েকটি পাড়ার বাসিন্দাদের খাদ্য ঘাটতির দেখা দিলে তাৎক্ষণিকভাবে চাল, ডাল, তেল ও লবনসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় ত্রাণ সামগ্রী পাঠানো হয়েছে। জুমের ধান না পাওয়ার পর্যন্ত এই বিশেষ ত্রাণ সহায়তা অব্যাহত থাকবে।

 

একুশে সংবাদ/ এস কে

 

 

Link copied!