AB Bank
ঢাকা শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলি, শামীম ওসমান আইভীসহ আসামি ৪৩০


Ekushey Sangbad
জেলা প্রতিনিধি,নারায়নগঞ্জ
০১:০১ পিএম, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলি, শামীম ওসমান আইভীসহ আসামি ৪৩০

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে মিনারুল ইসলাম নামের একজন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যাওয়ার ঘটনায় সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক এমপি শামীম ওসমান, সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকালে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে নিহতের ভাই নাজমুল হক বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় ১৩০ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরও ৩০০ জনকে বিবাদী করা হয়।

গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর নারায়ণগঞ্জের সবগুলো থানায় শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদের, আসাদুজ্জামান খান কামাল, জুনাইদ আহমেদ পলকসহ শামীম ওসমান ও অনুসারীদের বিরুদ্ধে কয়েক ডজন মামলা হয়েছে। তবে কোনোটিতে আইভীর নাম ছিল না। আইভীর বিরুদ্ধে এটা প্রথম মামলা।

মামলায় নজরুল ইসলাম বাবু, গোলাম দস্তগীর গাজী, কায়সার হাসানাত, আজমেরী ওসমান, অয়ন ওসমান, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, কাউন্সিলর মতি, নূর উদ্দিন মিয়া, শাহজালাল বাদল, শাহ নিজাম, আইভীর ভাই শহর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলী রেজা উজ্জল, অ্যাডভোকেট সুইটি ইয়াসমিন, কাউন্সিলর এনায়েত হোসেন, বিএনপির বহিস্কৃত নেতা আতাউর রহমান মুকুলসহ ১৩০ জনের নাম উল্লেখ এবং আরও অজ্ঞাত ২০০/৩০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে এক নং আসামি ওবায়দুল কাদেরের নির্দেশে সারা দেশের আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ ও সন্ত্রাসীদের দ্বারা ছাত্র আন্দোলনকে প্রতিহত করার নির্দেশ প্রদান করলে ২নং হতে ৫নং আসামির নেতৃত্বে ৩০০/৪০০ জন সন্ত্রাসীরা বন্দুক, শটগান, পিস্তল, তলোয়ার, রামদা, চাপাতিসহ অত্যাধুনিক দেশী ও বিদেশি অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ছাত্র-জনতাকে প্রতিহত করার চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে আদমজী রোডস্থ আল আমিন নগর পাওয়ার হাউজের সম্মুখে তাদের হাতে থাকা ককটেল বোমা বিস্ফোরণ ঘটাতে ঘটাতে সামনের দিকে আগাতে থাকা অবস্থায় আসামিরা তাদের সাথে থাকা আগ্নেয়ায়াস্ত্র দিয়ে চারদিকে গুলি ছুড়তে থাকে।

তখন আমার ভাই মিনারুল ইসলাম একজন গার্মেন্টস কর্মী। সে গত ২০ জুলাই সন্ধ্যা অনুমান ৬টায় মুজিব ফ্যাশনের সম্মুখে আসলে, ঘটনার সামনে পরে গেলে ২নং আসামি শামীম ওসমান তার হাতে থাকা আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে আমার ভাইকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়লে সে গুলি আমার ভাইয়ের বাম দিকের কিডনির নিচে লেগে গুলিবিদ্ধ হয়। আমার ভাই তৎক্ষনাৎ মাটিতে লুটিয়ে পড়লে তার সাথে থাকা মো. সাইদুল ইসলাম, কাওসার ও ডালিম মোল্লা অটোতে করে তাকে খানপুর হাসপাতালে নিয়ে যায়। তখন কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

 

একুশে সংবাদ/বিএইচ

Link copied!