রাজবাড়ীর পাংশায় স্বর্ণালঙ্কার ছিনিয়ে নিতে বৃদ্ধা আশালতা দাস হত্যা মামলায় বিশ্বজিৎ কুমার বিশ্বাস (২৫) নামের এক যুবকের মৃত্যুদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন আদালত। নিহত আশালতা দাস (৭৫) পাংশা উপজেলার সরিষা ইউনিয়নের প্রেমটিয়া গ্রামের মৃত সন্তোষ কুমার দাসের স্ত্রী। বিশ্বজিৎ কুমার বিশ্বাস একই গ্রামের সুজিৎ কুমার বিশ্বাসের ছেলে।
বৃহস্পতিবার (০৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজবাড়ী জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোসাম্মৎ জাকিয়া পারভিন আসামীর উপস্থিতিতে এ রায় দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জজ কোর্টের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এ্যাড. উজির আলী শেখ।
মামলা সূত্রে জানাগেছে, চলতি বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি রাতে স্বর্ণালঙ্কার ছিনিয়ে নিতে বাড়িতে ঢুকে বৃদ্ধা আশালতা দাসকে শ্বাসরোধ ও হাতুড়ি দিয়ে মাথায় আঘাত করে হত্যা করেন বিশ্বজিৎ কুমার বিশ্বাস। পরেরদিন ১৩ ফেব্রুয়ারি সকালে বাড়ির কাজের লোক ঘরের বারান্দায় আশালতা দাসের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেয়। ওই দিন নিহতের জামাতা স্বপন কুমার বিশ্বাস অজ্ঞাত আসামি করে পাংশা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ সন্দেহভাজন বিশ্বজিৎ কুমার বিশ্বাসকে লুন্ঠিত স্বর্ণালঙ্কার, হত্যার কাজে ব্যবহৃত হাতুরী উদ্ধারসহ গ্রেপ্তার করলে সে হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দেন।
মামলার বাদী স্বপন কুমার বিশ্বাস বলেন, পুলিশ ও বিচারকের আন্তরিকতায় ২৬জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য গ্রহণের পর আজ মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রদান করেছে। এ রায়ে আমি সন্তষ্ট।
রাজবাড়ী জজ কোর্টের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এ্যাড. উজির আলী শেখ বলেন, আশালতা দাস বাড়ীতে একাই থাকতেন। স্বর্ণালংকারের লোভে ২০২৪ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারী ভোরে তাকে হাতুরী দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে স্বর্ণালংকার লুট করে নেয়। পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে ও লুন্ঠিত মালামাল উদ্ধার করে। ২৬জন স্বাক্ষী সবাই তাদের সামনে হত্যার কথা ও মালামাল উদ্ধারের সত্যতা প্রকাশ করায় আসামিকে মৃত্যুদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন আদালত। এ রায়ের মধ্য দিয়ে একটি ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এ রায়ে আমরা সন্তষ্টি প্রকাশ করছি। এত দ্রুত বিচারিক কাজ সম্পন্ন হলে সমাজে অপরাধী হ্রাস পাবে এবং আদালতের মামলা জট কমবে। এই রায় একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :