চারপাশে শুধু বাহারী বর্ণের ছোট বড় পদ্মফুল সেইসঙ্গে সবুজ গাছপালায় ঘেরা গোপালগঞ্জের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপরূপ লীলাভূমি বলাকইড় গ্রামের পূর্বপাড়ায় পদ্মবিলে ফুটেছে অপরূপ সুন্দর পদ্মফুল।
প্রতিদিন নানা বয়সী দেশি-বিদেশি পর্যটকের পদভারে মুখরিত হয়ে ওঠে অঘোষিতে এই পর্যটন স্পট বলাকৈইড় গ্রাম। প্রতি বছরই পর্যটকদের সমাগমে মিলন মেলায় পরিণত হয় এই গ্রাম।
পদ্মা সেতুতে যান বাহন চলাচল শুরু হওয়ার সুবাদে এ বছর ফুল ফোটার শুরু থেকেই দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসতে শুরু করেছে পর্যটক। জনসমাগমে মুখরিত হয়ে উঠেছে এই অঘোষিত পর্যটন স্পট বলাকৈইড় গ্রামটি।
গোপালগঞ্জ জেলা শহর থেকে কমপক্ষে ১২ কিলোমিটার পূর্বদিকে অবস্থিত বলাকৈইড় গ্রাম। এ গ্রামটির পূর্বপাড়ায় প্রায় পাঁচ হাজার বিঘা জায়গা জুড়ে এই পদ্মবিল। যে বিলটিতে ফুটেছে হরেক প্রজাতির দৃষ্টিনন্দন পদ্মফুল।
বিলটিতে প্রতি বছর আষাঢ় মাসের শুরুতেই দৃষ্টিনন্দন পদ্মফুল ফোটা শুরু হয়ে থাকে কার্তিক মাস পর্যন্ত। এই পদ্মবিলটি ঘুরে দেখানোর জন্য এই গ্রামের প্রায় শতাধিক মানুষ তাদের নিজ নিজ নৌকা নিয়ে পদ্ম বিলের পাড়ে বসে থাকেন। এতে করে তাদের বছরের অবসর এই সময়টায় কর্মসংস্থানের এক দার উন্মোচন হয়েছে।
এখানকার প্রাকৃতিক মনোরম পরিবেশ উপভোগ করতে আসা পর্যটকরা বলেন, এখানকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা মোটামুটি ভালো থাকলেও গ্রামীণ মেঠো পথের যোগাযোগ ব্যবস্থা খুব বেশি ভালো না। ইটের রাস্তাগুলো ভাঙাচোরা মাঝে-মাঝেই ইট নেই, এই কারণে ভোগান্তিতে পড়তে হয়।
দূরদূরান্তের পর্যটকদের সমাগমে মুখোরিত পদ্মবিলে আসা পর্যটকেরা এই পদ্মবিলটিকে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণার পাশাপাশি, নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারসহ রাস্তাঘাটের উন্নয়নের দাবি জানিয়েছেন সরকারের কাছে।
গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহসিন উদ্দিন বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মভূমি গোপালগঞ্জ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমণ্ডিত একটি জেলা। এখানে পর্যটনের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। পদ্ম বিল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জেলার টুঙ্গিপাড়ার গোপালপুরের লাল শাপলার বিল, ও জেলা সদরের বলাকৈইড়ের পদ্মবিলে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি আমরা। যাতে করে নির্বিঘ্নে ভ্রমণ পিপাসুরা নিরাপদে তাদের ভ্রমণ আনন্দ উপভোগ করতে পারেন সে ব্যাপারে দৃষ্টি রাখা এবং সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছি আমরা।’
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :