সুনামগঞ্জের মধ্যনগর উপজেলার চামরদানী ইউনিয়নের জনতা বাজারে অতর্কিত হামলার ঘটনায় মামলা করায়, জলুষা গ্রামের ভিকটিম খসরুজ্জামানকে প্রান নাসের হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
উশৃংখল দাঙ্গাবাজ আসামি উজ্জ্বল ও গুলু মিয়া গাংরা এলাকার অপরাধ অরাজকতা সৃষ্টি সহ ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করারও অভিযোগ রয়েছে। এরা সমাজের বিভিন্ন অপকর্মে লিপ্ত থাকে বলে, এদের ভয়ে এলাকার কেউই মুখ খুলতে সাহস পায়না।
এছাড়াও তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অসামাজিক কর্মকান্ডের একাধিক মামলা রয়েছে, এমন অভিযোগও পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় খসরুজ্জামান নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছেন পরিবার পরিজনদের নিয়ে। ঘটনাটি ঘটেছে গত ৯ আগস্ট শুক্রবার বিকেল ৫ টার দিকে হামলার ঘটনা ঘটে।
ব্যবসায়ী খসরুজ্জামান কবির আগের দিন আসামি ইয়াসমিন এর সাথে তর্কবির্তক হয়। পরেরদিন অভিযোক্তরা সংগঠিত হয়ে, জনতা বাজারে কসরুজ্জামানের কবির মেডিকেল নামক ফার্মেসি দোকানে ডুকে, অভিযোক্তরা হামলা চালিয়ে দোকান ভাঙচুর ও ব্যবসায়ী খসরুজ্জামানকে বেধড়ক মারধর করেছে। এবং ভিকটিমকে মাথায় কূপ দিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে, অতঃপর মারাত্বক আহত অবস্থায় ধর্মপাশা উপজেলা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে, পরে কর্মরত চিকিৎসারা তাকে গুরুতর অবস্থায় ময়মনসিংহ হাসপাতালে রেপার্ড করেছে।
আরও জানা যায়, খসরুজ্জামান কবির গত ১৫ জুন বৈষম্যবিরোধি আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ফেসবুকে একটি পোস্ট দেওয়ার পর থেকে, আওয়ামীলীগের নামধারী ইউপি সদস্য উজ্জ্বল মিয়া বিষয়টি ভিন্ন খাতে প্রভাহিত করলে, তাদের মাঝে বিরোধের সৃষ্টি হয়। এর জেরে, ঐ ঘটনার দিন এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী গোলাম মস্তফা গুলু, ইয়াসিন মিয়া, লাট্রন মিয়া, আব্দছ ছমেদসহ ধারালো অস্ত্র নিয়া, ঔষধের দোকানে ডুকে খসরুজ্জামানের উপর হামলা চালায়।
পরে আশপাশের লোকজন এসে আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করেছে। এরপরে ভিকটিমের বাবা জয়নাল আবেদীন আকন্দ বাদী হয়ে ১৫ আগস্ট মধ্যনগর থানায় মামলা দায়ের করেন। ঘটনার প্রেক্ষিতে মামলা রুজু করা হয়েছে। ভুক্তভোগী মামলা করায়, আসামি উজ্জ্বল মিয়া ও গোলাম মস্তফা গুলু মিয়া ক্ষিপ্ত হয়ে, খসরুজ্জামানকে জানে মারার হুমকি দেওয়ার অভিযোগে ৬ সেপ্টেম্বর খসরুজ্জামান বাদী হয়ে, মধ্যনগর থানায় সুবিচারের আশায়, আরও একটি জি ডি করেন।
এবিষয়ে তদন্ত অফিসার এসআই আসাদ বলেন, আসামিগন পলাতক রয়েছে, গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :