দাউদকান্দির পিপইয়াকান্দি আমানুল উলুম ইসলামিয়া সিনিয়র মাদরাসার অধ্যক্ষ মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ তুলে অপসারণের দাবীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে করেছেন ওই প্রতিষ্টানের শিক্ষক কর্মচারী, শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী। রবিবার বেলা ১১টায় মাদরাসার সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশ বক্তব্য রাখেন মাদরাসার সহকারী অধ্যাপক ছালেহ উদ্দিন ভুঞা, আবুল কালাম বিশ্বাস, প্রভাষক রাশিদা আক্তার, মাদরাসার প্রাক্তন ছাত্র সাচার কলেজের প্রভাষক ইসমাইল হোসেন ও স্থানীয় কামাল হোসেন প্রমূখ।
বক্তারা বলেন, মাদরাসার অধ্যক্ষ মতিউর রহমান ২০০১সালে এই মাদরাসায় যোগদান করেন। প্রথম দিকে ভালো থাকলেও পরে বিভিন্ন অনিয়ম ও অনৈতিক কাজে জড়িয়ে পড়েন। এমন অভিযোগ মাথায় নিয়ে ২০১৪ সালের জুন মাসে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেন অধ্যক্ষ মতিউর রহমান। পরে কূটকৌশল অবলম্বন করে প্রভাবশালী লোকজনের মাধ্যমে একবছর তিনমাস পর আবার সে মাদরাসায় যোগদান করেন। এরপর তিনি বেপরোয়া হয়ে উঠেন। ভুয়া ভাউচার দেখিয়ে অর্থ আত্মসাতে মেতে উঠেন।
মাদরাসার পানি নিস্কাশন ও বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের জন্য সরকারি অনুদানের পাঁচ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন। এছাড়া শিক্ষক কর্মচারী নিয়োগ নিয়েও অনিয়মের মাধ্যমে টাকার বানিজ্য করেছেন।
বক্তারা বলেন , গত ১সেপ্টেম্বর মাদরাসার শিক্ষক কর্মচারীরা অধ্যক্ষের অনিয়মের বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করেছি। বার বার অভিযোগ করলেও টাকার জোরে ধামাচাপা দিয়ে দেয় অধ্যক্ষ মতিউর রহমান।
বক্তারা আরও বলেন, অধ্যক্ষ মতিউর রহমান মাদরাসার ৭ম শ্রেণীর ছাত্রীসহ অন্যান্য ছাত্রীদের যৌন হয়রানী করাসহ নানা কৌশলে ছাত্রীদের বিরক্ত করতেন। দুইজন মহিলা প্রভাষক রাশিদা আক্তার- (গণিত) ও রাশিদা আক্তার (জীব বিজ্ঞান) অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে গত মার্চ মাসে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট যৌন হয়রানির লিখিত অভিযোগ করলেও কোন সুরাহা হয়নি। মাদরাসার শিক্ষক- শিক্ষিকাদের সাথে চরম দুর্ব্যবহার এবং কুরুচিপূর্ণ ও অশালিন ভাষা ব্যবহার করতেন। সরকারী সুযোগ সুবিধা পাওয়ার ক্ষেত্রে শিক্ষকদেরকে বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করাসহ ছুটির আবেদনপত্র আবেদনকারী শিক্ষকের সামনেই ছিড়ে ফেলে দিতেন। আমরা এমন দুর্নীতিবাজ অধ্যক্ষের দ্রুত অপসারণের দাবী জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে কথা বলতে চাইলে অধ্যক্ষ মতিউর রহমান পরে কথা বলবেন বলে মুঠোফোনে জানান।
দাউদকান্দি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ আরাফাতুল আলম বলেন, অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়টি মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা তদন্ত করছে। তদন্ত রিপোর্ট পেলে মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। ওখান থেকেই চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসবে।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :