নিহত হওয়ার ৫৪ দিন পর তোলা হলো গত ১৯ জুলাই রংপুর সিটি বাজারের সামনে আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত ফল ব্যাবসায়ী মেরাজুল ইসলামের মরদেহ। বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নিউ জুম্মাপাড়া কবরস্থান থেকে থেকে আদালতের আদেশে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি তোলা হয়।
পরে মরদেহটি রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। এ সময় রংপুর জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার মাহমুদুল হাসানসহ সেনাবাহিনী, মেট্রোপলিটন পুলিশের কর্মকর্তা ও পরিবারের লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদুল হাসান জানান, জুম্মাপাড়া এলাকার শামসুল ইসলামের ছেলে মেরাজুল নিহতের ঘটনায় তার মা আম্বিয়া খাতুন বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেন। আদালতের আদেশে ময়নাতদন্তের জন্য তার মরদেহ উঠানো হলো। ময়নাতদন্ত শেষে যথাযথ নিয়মে আবারো তার মরদেহ দাফন করা হবে বলেও জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, গত ১৯ জুলাই বিকেলে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে রংপুর সিটি বাজারের সামনে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় মেরাজুলকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে তিনি মারা যান। তবে তখন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর চাপে ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ দাফন করে তার পরিবার। এই মামলায় মহানগর পুলিশের সদস্য, কর্মকর্তা, সিটি করপোরেশনের ৭ কাউন্সিলর, সাবেক মহিলা এমপি নাসিমা জামান ববিসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগের ২১ নেতাকে আসামি করা হয়।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :