কক্সবাজার সরকারি হাসপাতালে সিসিইউতে চিকিৎসাধীন এক রোগীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে মারধরের শিকার হয়েছেন সজীব কাজী নামে এক চিকিৎসক।
ঘটনার পর মঙ্গলবার রাত ১টা থেকে কক্সবাজার সরকারি হাসপাতালের জরুরি বিভাগসহ ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ ঘোষণা করেছেন ইন্টার্ন চিকিৎসক ও মেডিকেল অফিসাররা। এতে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে স্বাস্থ্য সেবা দেওয়া বন্ধ হয়ে পড়ে। ডাক্তার দেখাতে না পেরে রোগীদের নিয়ে হাসপাতাল ঘুরে ঘুরে অনেকেই বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন। অনেকে আবার ডাক্তার দেখাতে ছুটছেন বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোতে।
বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) কক্সবাজার সরকারি হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতালের বহির্বিভাগ সেবা বন্ধ আছে। এছাড়া ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া বন্ধ রেখেছেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা।চিকিৎসা সেবা বন্ধ থাকায় হাসপাতালে থাকা রোগীরা বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোতে ছুটছেন।
সার্জারি বিভাগে থাকা রোগী মনিয়ম বেগমের স্বামী বলেন, দুই দিন আগে অপারেশনের মাধ্যমে আমার কন্যা শিশুর জন্ম হয়। সকাল থেকে চিকিৎসক ও নার্স না থাকায় ড্রেসিং করাতে পারছি না। এদিকে আমার স্ত্রীর পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে। তাই বাধ্য হয়ে প্রাইভেট ক্লিনিকে নিয়ে যাচ্ছি।
জরুরি বিভাগে থাকা রোগী সিনহা বলেন, রাতে শ্বাসকষ্ট নিয়ে আসি। কিন্তু চিকিৎসকরা অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি দেন। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত অপেক্ষা করেছি। কিন্তু একজন চিকিৎসকও আসেননি। তাই পার্শ্ববর্তী আল ফুয়াদ হাসপাতালে যাচ্ছি।
তবে ভিন্ন কথা বলেছেন, জেলা প্রশাসকের এডিসি ইয়ামিন হোসেন। তিনি বলেন, চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা হয়েছে। তারা তাদের কাজে ফিরে গেছেন। চিকিৎসককে মারধরের ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে। এছাড়া চিকিৎসকদের নিরাপত্তায় হাসপাতালে সেনা মোতায়েন করা হয়েছে।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :