ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরের মাছিহাতা ইউনিয়নের গজারিয়া গ্রামে শ্যালক-দুলাভাই দুপক্ষের দফায় দফায় সংঘর্ষে নারীসহ উভয় পক্ষের ১৫ জন আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় এ সংঘর্ষ হয়। আহতদের হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানেও তারা সংঘর্ষে জড়ান। পরবর্তীতে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আজ শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকাল পর্যন্ত এ বিষয়ে থানায় কোনো মামলা হয়নি বলে জানিয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাফফর হোসেন।
সংঘর্ষে আহতদের মধ্যে রয়েছেন আনোয়ার (৫০), রাহিম (১৮), দ্বীন ইসলাম (২৪), শাকিল (২২), ময়না (৪০), ইসমাইল (১৫), মনির (৪৪), ইয়াসিন (২১) ও মনসুর (৩৫) জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তবে এদের সবাই শঙ্কামুক্ত।
পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, সদর উপজেলার গজারিয়া গ্রামের আনোয়ার মিয়ার ছেলে দ্বীন ইসলামের স্ত্রী পারিবারিক কলহের জেরে ছয় জনের নাম উল্লেখ করে আখাউড়া আমলি আদালতে একটি যৌতুকের মামলা করেন। এতে শহীদ ভূঁইয়ার ছেলে মনির ও মনসুরকে আসামি করা হয়। আনোয়ারের বোন জামাই মনির।
মামলার বিষয়টি মনিরের কাছে কেন গোপন রাখা হলো -- এ নিয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দুপক্ষই সংঘর্ষে জড়ায়। এতে উভয়পক্ষের ১৫ জন আহত হয়। আহতদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে দুপক্ষের লোকজন আবারও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। পরে সদর থানা পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেন।
হাসপাতালে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ্ জানান, চিকিৎসা নিতে আসা দুপক্ষের লোকজন জরুরি বিভাগের ভেতরেও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে হাসপাতালের রোগী ও স্টাফরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :