পটুয়াখালীর বাউফলে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ৩ জন আহতের ঘটনা ঘটেছে। গুরুতর অবস্থায় আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ৩ জনকেই বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
শুক্রবার রাত সাড়ে আটটার দিকে উপজেলার কালাইয়া বন্দরে ওই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন, উপজেলা যুবদলের আহবায়ক কমিটির সদস্য মালিকুল ইসলাম স্বপন (৫০), উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নুর হোসেন খান (৬৫) ও জুবায়ের হোসেন খান (২১)।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি দক্ষিণাঞ্চলের অন্যতম বড় বন্দর কালাইয়া ইউনিয়নের হাট-বাজারের ইজারা উঠানোকে কেন্দ্র করে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-দপ্তর সম্পাদক মুনির হোসেনের সমর্থক ও কালাইয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জসিম আহমেদ তুহিন এবং পটুয়াখালী-২ (বাউফল) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শহিদুল আলম তালুকদারের সমর্থক ও উপজেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গাজী গিয়াস উদ্দিনের মধ্যে বিরোধের সৃষ্টি হয়। এ বিরোধের জেরে সন্ধ্যায় তুহিন ও গিয়াসের পক্ষের বিএনপি দলীয় নেতা-কর্মীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এসময় ধারালো দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে উভয় পক্ষের ৩ জন আহত হয়।
এ বিষয়ে বাউফল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শোনীত কুমার গায়েন বলেন, দলীয় বিরোধকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুপক্ষের নেতা-কর্মীরা বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। এতে ৩ জন জখম হয়েছেন। তাদের পরিবারেরকে লিখিত অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে আছে বলেও জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, বর্তমানে কালাইয়া ইউনিয়নের হাট-বাজারের ইজারা তোলেন জসিম আহমেদ তুহিন। তিনি সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মরহুম হালিম মিয়ার ছেলে।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :