নওগাঁর মান্দায় গোবিন্দপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের এক প্রাক্তন শিক্ষার্থী’র রাজনৈতিক প্রত্যয়নপত্রে স্বাক্ষর না দেওয়ায় সাময়িক দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকসহ একাধিক সহকারী শিক্ষককে লাঞ্চিত করা হয়েছে বলে জানা গেছে। রোববার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে ৭নং প্রসাদপুর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে এ অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় অত্র এলাকাজুড়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
গোবিন্দপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সাময়িক দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আইয়ুব হোসেন বলেন, রোববার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে অত্র প্রতিষ্ঠানের প্রাক্তন শিক্ষার্থী রায়হান আলী রাজনৈতিক দলীয় লগো সংবলিত একটি প্যাডে স্বাক্ষর নিতে আসেন। এরপর সেটিতে স্বাক্ষর দিতে অস্বীকৃতি জানানোর পর ওই শিক্ষার্থী নিজে নিজে আত্মহত্যা করার হুমকি দিয়ে ফরমটি ছিড়ে ফেলার পর অফিসরুম থেকে বেড়িয়ে যায় সে। এরপর তিনিসহ কয়েকজন শিক্ষক মাঠের মধ্যে এসে এসব বিষয় নিয়ে কথা বলছিলেন। এসময় রায়হানের পক্ষ নিয়ে বহিরাগত লোকজন বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে এসে বাগবিতন্ডার এক পর্যায়ে আমাকে শারিরিকভাবে লাঞ্চিত করেন। এসময় প্রতিহত করতে গিয়ে অত্র প্রতিষ্ঠানের সহকারী শিক্ষক মুজাহিদুল ইসলাম,শহিদুল ইসলাম,এনামুল হক ও সুদেব কুমার লাঞ্চিত হন। বর্তমানে আমরা জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছি। আমরা এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
অপরদিকে স্থানীয়রা জানান যে, গোবিন্দপুর গ্রামের মাহতাবের ছেলে রায়হান ওই প্রতিষ্ঠানের একজন প্রাক্তন শিক্ষার্থী। সে রোববার সকালে ওই প্রতিষ্ঠানের সাময়িক দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আইয়ুব হোসেনের কাছে একটি প্রত্যয়নপত্রে স্বাক্ষর নিতে যান। কিন্তু সেটিতে স্বাক্ষর না দিয়ে প্রত্যয়নটি ছিড়ে ফেলেন প্রধান শিক্ষক। এসময় রায়হানের পক্ষ নিয়ে প্রতিবাদ করতে গিয়ে গোবিন্দপুর গ্রামের দেলসাদ,মজিবর,আব্দুস সালাম,আহাদ আলী এবং শহিদুল ইসলাম আহত হয়েছেন। অপরদিকে শিক্ষকদের পক্ষ নিয়ে প্রতিবাদ করতে গিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্বমন্বয়ক পরিচয়দানকারী গোবিন্দপুর গ্রামের নাহিদের বাবা আব্দুল আলিম ও আহত হন।
৭নং প্রসাদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন বিএনপি’র আহবায়ক অধ্যক্ষ আব্দুল মতিন মন্ডল বলেন, বিষয়টি শোনার পর ইউএনও, সার্কেল এসপি এবং ওসির কাছ থেকে বারবার ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনা হয়েছে।
মান্দা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শাহ আলম সেখ বলেন, প্রধান শিক্ষকের মাধ্যমে বিষয়টি জানার পর উর্দ্ধত্মন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। অভিযোগ পেলে বিধি অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ বিষয়ে জানার জন্য মান্দা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) লায়লা আঞ্জুমান বানুর মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দেওয়ার পরেও তিনি ফোনটি রিসিভ না করায় তার মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :