গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার নলডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের ভবনটি দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার ও মেরামতের অভাবে ঝুকিপূর্ণ ভবনে চলছে নিত্যদিনের সেবামূলক কাজকর্ম।
এতে গ্রাম আদালত সহ জনগুরুত্বপূর্ণ কাজকর্ম মারাত্নকভাবে ব্যাহত হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে। এমতাবস্থায় যেকোন মুহুর্তে ১ তলা বিশিষ্ট ভবনটি ধসে পড়ে প্রাণহানি সহ বড় ধরনের র্দূঘটনা ঘটতে পারে বলে আশংকা করছেন স্থানীয়রা।
বিদ্যমান জরাজীর্ণ এভবনেই চেয়ারম্যান মেম্বর ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টরা নিরূপায় হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সেবা গ্রহিতা জনসাধারনের নিয়মিত সেবা দিয়ে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে।
ওই ইউনিয়নের মেয়ের জন্মনিবন্ধনের কাজ করতে আসা,মিন্টু, মিয়া,সালমান মিয়াসহ বিভিন্ন ধরনের সেবা গ্রহিতারা জানান, আধুনিকতার ছোঁয়ায় তৃণমূল পর্যায়ের জনসাধারনের সেবার মান উন্নয়ন ও নিশ্চিত করনসহ ক্ষমতায়ন বৃদ্ধিকরন কল্পে জনসাধারনের সেবার মান দোরগোঁড়ায় পৌছে দিতে দেশের অধিকাংশ ইউনিয়ন পরিষদের দ্বিতল ভবন স্থাপন করা হলেও নলডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের মান্ধাতা আমলে নির্মিত ভবনটির আজও কোন আঁধুনিকতার ছোঁয়া দেওয়া হয়নি।
জানা গেছে, এ উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের মধ্যে ৭টি ইউনিয়ন পরিষদের দ্বিতল ভবন স্থাপন করা হয়েছে। কিন্তু অবশিষ্ট আরো ৪টি ইউনিয়নে অদ্যবধি নতুন কোন ভবন স্থাপন করা হয়নি।
অবহেলিত এ ইউনিয়ন গুলো হলো নলডাঙ্গা, খোদ্দকোমরপুর, জামালপুর ও ইদিলপুর। এরমধ্যে বিশেষ করে শিক্ষাদীক্ষায় ও ব্যবসা বানিজ্যের দিক থেকে অধিকতর গুরুত্বপূর্ণ নলডাঙ্গা ইউনিয় পরিষদ ভবনটিতে দীর্ঘদিন ধরে কোন রকম সংস্কার ও মেরামতের ছোঁয়া না দেওয়ায় ভবনটির দেওয়াল ও ছাদের খোয়াবালি ক্রমান্বয়ে ধসে পড়ছে। এছাড়া দরজা ও জানালাগুলোর নড়বরে অবস্থা। ঝুকিপূর্ণ ভবনটির চারদিকে এখন স্যাঁতস্যাঁতে অবস্থা বিরাজ করছে। বিদ্যমান এ পরিস্থিতিতে বর্ষাকালে সামান্য বৃষ্টিতেই ছাদ চুয়ে চুয়ে পানি পরে মেঝের মধ্যে জমে থাকে। এ সময় অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাগজ পত্র ভিজে যাওয়ার আশংকায় সংশ্লিষ্টরা ওবসব কাগজপত্র নিয়ে উদ্বিগ্ন ও উৎকন্ঠায় থাকেন। এরমধ্যেও ইউপি চেয়ারম্যান, প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও মেম্বারগন প্রতিনিয়তই জীবনের ঝুকি নিয়ে জনসেবার কার্যক্রম অব্যাহত ভাবে চালিয়ে যাচ্ছেন।
এ প্রসঙ্গে ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল গফুর জানান, ভগ্নদশা ভবনটির বিষয়ে ডিসি ও ইউএনও স্যার অবগত আছেন। তিনি আরো জানান দ্বিতল ভবন স্থাপনের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তবে খুব শীঘ্রই হয়তো অন্যান্য ইউনিয়নের ন্যায় এইউনিয়টিতেও দ্বিতল ভবন স্থাপিত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :