মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার ৭নং সব্দালপুর ইউনিয়নে এক বিএনপি নেতার সমর্থকদের সঙ্গে অপর এক আওয়ামীলীগ নেতার সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে অন্ত ১৫ জন মারাত্বক আহত হয়েছে। এ সময় বেশ কয়েকটি বাড়ি-ঘরে ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাট চালানো হয় বলে জানা যায়।
বৃহস্পতিবার সকালে সাবেক ইউপি সদস্য ও বিএনপি নেতা হাফিজুর রহমানের লোকজনের সঙ্গে আওয়ামীলীগ নেতার ছেলে সাব্বির মোল্লার লোকজনের এই সংঘর্ষ হয়।
বিবাদমান দুই পক্ষ ও পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গ্রাম্য আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সব্দালপুর ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য ও বিএনপি নেতা হাফিজুর রহমানের লোকজনের ওপর হামলা চালায় আওয়ামীলীগ নেতার ছেলে সাব্বির মোল্লাসহ দলের কিছু সমর্থক। এরপর থেকে উভয়পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। আহতদেরকে মাগুরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গুরুতর আহত সাবেক ইউপি সদস্য ও বিএনপি নেতা হাফিজুর রহমান(৪০)কে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাতে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি সব্দালপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সাব্বির মোল্যা সব্দালপুর নোহাটা গ্রামের মৃত দোলাল মোল্যার ছেলে। দোলাল মোল্যা মাগুরা শ্রীপুর থানা আওয়ামী লীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক।
আহতদের মধ্যে মারুফুল ইসলাম, মিলন শেখ, ইবাদত মোল্যা, রেজা মরি, ইকবল, মরি, জিবলু, মাসুদ শেখ, ওলি, চঞ্চল, মোয়াজ্জেমকে মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সংঘর্ষে আহত সব্দালপুর ইউনিয়নের সদস্য সচিব মারুফুল ইসলাম বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে সাব্বির মোল্যাসহ কিছু আওয়ামীলীগ সমর্থক আমাদের ওপরে অতর্কিত হামলা চালায়। সাব্বির বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ সোহান হত্যার অন্যতম আসামি। মামলায় আসামি করার জের ধরেই তার সঙ্গে এলাকাবাসীর বিরোধ চলে আসছিল। সেটার প্রতিশোধ নিতেই আজ আমাদের ওপরে এ হামলা করা হয়। সাব্বিরের সমর্থক আহত মিলন শেখ (৩৭) বলেন, যারা আহত হয়েছে তাদের চাচাতো ভাই সাব্বির। তাদের নিজেদের পরিবারগত মারামারিকে পুজি কওে আমাদের দোষারোপ করা হচ্ছে। আমি নিজেও আহত হয়ে এখন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছি।
সংঘর্ষের বিষয়ে সাব্বির মোল্যাকে ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তিনি কল রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে শ্রীপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) গৌতম ঠাকুর বলেন, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র ধরে দুটি পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। আমরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছি। এলাকা এখন শান্ত রয়েছে। আমাদের সঙ্গে সেনাবাহিনীর সদস্যরগণও দায়িত্ব পালন করেছেন। এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :