কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে ঘুষ দিতে গিয়ে দৌড়ে পালিয়েছেন এক মাদ্রাসা সুপার। এই ঘটনায় ভূরুঙ্গামারী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার গোলাম ফেরদৌস।
বৃহস্পতিবার বিকেলে ভূরুঙ্গামারী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। দৌড়ে পলায়ন করা ওই ব্যক্তি কামাত আঙ্গারীয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার সাইদুর রহমান বলে জানা গেছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার দপ্তর সূত্রে জানাযায়, কামাত আঙ্গারিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার সাইদুর রহমানের বিরুদ্ধে অবৈধ নিয়োগ বাণিজ্য, জালিয়াতি, শিক্ষকদের হয়রানি, সরকারি বরাদ্দ আত্মসাৎ, মাদ্রাসার গাছ কেটে নিজের কাজে লাগানোসহ বেশ কিছু অভিযোগ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের তদন্তাধীন রয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে আগামী কয়েকদিনের মধ্যে এসব অভিযোগের তদন্ত প্রতিবেদন সংশ্লিষ্ট দপ্তরে প্রেরণ করার কথা রয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে কামাত আঙ্গারিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার ইউএনওর কার্যালয়ে গিয়ে ইউএনওকে এক বান্ডিল টাকা ঘুষ দেয়ার চেষ্টা করেন। এ ঘটনায় ইউএনও ক্ষিপ্ত হয়ে সুপারকে আটক করতে অফিস স্টাফদের তার কক্ষে ডাকেন। অফিস স্টাফরা কক্ষে পৌছার আগেই সুপার টাকা নিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যান।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত সুপার মো. সাইদুর রহমান মুঠোফোনে ঘুষ প্রদান চেষ্টার বিষয়টি অস্বীকার করেন।
ভূরুঙ্গামারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. গোলাম ফেরদৌস বলেন, কামাত আঙ্গারীয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপারের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ তদন্তের জন্য একটি কমিটি করা হয়েছে। তিনি অফিসে এসে আমাকে টাকা দিতে চেয়েছেন। এই ঘটনায় থানায় একটি জিডি করা হয়েছে। দ্রুত ওই সুপারের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ভূরুঙ্গামারী থানার ওসি রুহুল আমিন বলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুপারের নামে জিডি করেছেন। পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :