AB Bank
ঢাকা শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

বিপদসীমা ছুঁই ছুঁই তিস্তার পানি, প্লাবিত নিম্নাঞ্চল


Ekushey Sangbad
মোঃ জামাল বাদশা, লালমনিরহাট
০১:২৮ পিএম, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
বিপদসীমা ছুঁই ছুঁই তিস্তার পানি, প্লাবিত নিম্নাঞ্চল

ভারী বর্ষণ ও উজানের ঢলে ফের বাড়ছে তিস্তা নদীর পানি। পানি ক্রমেই বৃদ্ধি পেয়ে তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই করছে। হঠাৎ তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় হাতিবান্ধার গড্ডিমারী, আদিমতমারী উপজেলার গোবরধন, গরীবুল্লাহ পাড়াসহ নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে তিস্তা পারের বাসিন্দারা। এছাড়া নদীর চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলের অন্তত ১০ হাজার হেক্টর আমনের ক্ষেত তলিয়ে গেছে।

শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টায় দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে পানির প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২ দশমিক ১০ মিটার। যা বিপদসীমার মাত্র ৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। 

জেলার সদর উপজেলার হরিণচওড়ার বাসিন্দা মশিয়ার রহমান জানান, গতকাল শুক্রবার তিস্তার পানি বেশ কম ছিলো। হঠাৎ রাত থেকে পানি বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। পানি আরও বাড়লে বাড়িঘরের প্রবেশ করবে। একই এলাকার কৃষক সাইফুল হুদা জানান, গত চারদিনের বৃষ্টির জন্য মানুষ প্রয়োজন ব্যতিত ঘর ছাড়েনি। গবাদি পশুর খাবার সংগ্রহ করতেও বেগ পেতে হয়েছে। এরমধ্যে চরের জমিত চাষ করা ধান আর মিষ্টি কুমড়া তলিয়ে গেছে। জেলার কালীগঞ্জে ভোটমারী শৈলমারী চরাঞ্চলের বাসিন্দা রিফাত হোাপন জানান, প্রচুর বৃষ্টির কারণে কৃষকের ধান তলিয়ে গেছে। পানি স্থায়ী হলে উৎপাদনে প্রভাব পড়বে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর লালমনিরহাটের প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা শাহ আলম বলেন, অসময়ে টানা বৃষ্টির কারণে আমনের ক্ষতিহয়। বেশকিছু নিম্নাঞ্চল ও চরের ধান তলিয়ে গেছে। এটি স্থায়ী হলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে কৃষক। তবে কি পরিমাণ ধান তলিয়ে গেছে তা  নির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না এখনই।

লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শুনীল কুমার রায় বলেন, টানা বৃষ্ ও উজানের ঢলের কারণে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। চরাঞ্চল ও নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের কিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। বৃষ্টিপাত কমে গেলে নদীর পানি কমে যাবে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের বরাত দিয়ে এি কর্মকর্তা জানান, আগামী ২৪ ঘন্টয় ভারী বৃষ্টিপাতের শংকা কমে এসেছে। নদীর পানি কমে গেলে ভাঙ্গন দেখা দিতে পারে। ভাঙ্গন শুরু হলে জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙ্গন প্রতিরোধে কাজ করা হবে।

একুশে সংবাদ/ এস কে

Link copied!